Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বর খারাপ হয়’, কেন শিবরাত্রির আগে মাকে একথা বলেছিলেন সৌমিতৃষা?

Soumitrisha Secret: সিনেপাড়ায় পার্টি থেকে বিভিন্ন গেটটুগেদারে নজর কাড়া সৌমি পাল্লা দিয়ে পুজোও করেন। রাত পার্টিতেও আছেন, আছেন ভক্তিতেও। কৃষ্ণের টানে যে বারবার বৃন্দাবনে পৌঁছে যেতে পারে, শিব ঠাকুরকে নিয়ে তাঁর আবার কীসের ভয়? TV9 বাংলাকে শোনালেন এবার এক মজার গল্প। 

'বর খারাপ হয়', কেন শিবরাত্রির আগে মাকে একথা বলেছিলেন সৌমিতৃষা?
Follow Us:
| Updated on: Mar 07, 2024 | 1:59 PM

পর্দায় ‘জয় গোপাল’ বলে সকলের মন জয়-করা মেয়েটি বাস্তবে কৃষ্ণভক্ত। পূজার্চনা বরাবরই পছন্দ করেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু। ছোট পর্দা থেকে তাঁর অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু। বড়পর্দাতেও কাজ করছেন তিনি। তবে দর্শক মনে ‘মিঠাই’-এর চরিত্রের মাধ্যমে রাতারাতি জায়গা করে নেওয়া সৌমিতৃষা এখন বেশ পরিণত। ইন্ডাস্ট্রির পার্টি থেকে বিভিন্ন গেট-টুগেদারে নজরকাড়া সৌমি পাল্লা দিয়ে পুজোও করেন। অর্থাৎ রাত পার্টিতেও আছেন, রয়েছেন ভক্তিতেও। কৃষ্ণের টানে যে বারবার বৃন্দাবনে পৌঁছে যেতে পারে, শিব ঠাকুরকে নিয়ে তাঁর আবার কীসের ভয়? ঘটনাচক্রে শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসও। TV9 বাংলাকে এই বিশেষ দিনের আগের দিন, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শিবরাত্রি নিয়ে সৌমিতৃষা শোনালেন এক মজার গল্প।

কেন শিবপুজোয় ভয় ছিল সৌমিতৃষার? 

অভিনেত্রীর কথায়, ”আমার একজন পরিচিত ছিলেন, তিনি ভীষণ ভক্তি করে শিবপুজো করতেন। কিন্তু তাঁর বরটা খুব খারাপ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট থেকেই আমার মনে তাই এক অদ্ভুত ভয়। যখন আমার জ্ঞান হয়, বোধ আসে, আমি মাকে বলা শুরু করি, ‘না-না মা, বর তো খারাপ হয়। করব না আমি শিবরাত্রি।’ তবে সেই পর্ব এখন মিটে গিয়েছে। শেষ তিন বছর ধরে আমি শিবরাত্রি পালন করি। কারণ আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। সত্যি বলছি, অনেকে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, আমি এমনটাই দেখেছিলাম যে আমি শিবের সঙ্গে কথা বলছি। তারপরই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমি শিবরাত্রি পালন করব।”

সৌমিতৃষা বরাবরই ঈশ্বরে বিশ্বাসী

সৌমি বলেন, ”আমি সত্যিই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আপনি যদি ধামগুলোয় যান, দেখবেন, জীবনটা অন্যরকম লাগে। বৃন্দাবনে যাওয়ার জন্য তো আমি কেঁদেই ফেলি। কোনও দিন সম্ভব হলে আমি ওখানেই নিজের বাড়ি কিনব। ওখানেই থাকব।”

এই প্রজন্মের কাছে পুজোটাও কিন্তু আছে…

ট্রেন্ডে গা-ভাসানো অথবা লাইমলাইট কী কোথাও গিয়ে পুজো, ভক্তি, ঠাকুর ঘর থেকে এই প্রজন্মকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে?  সৌমি বলেন, ”একেবারেই না। এটা তো ব্যক্তিগত বিষয়। যাঁর করার, সে ঠিকই সময় করে নিয়ে করবে। যার করার নয়, সে সুযোগ পেলেও করবে না। সবটাই তো বিশ্বাস। এখনকার জেনারেশনের মধ্য়ে কিন্তু এই পুজো বিষয়টা ভীষণভাবে রয়েছে। তবে একটা প্রশ্ন রয়েছে আমার মনে, রিলস, ছবি তো জীবনে থাকবেই, কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত, ওই রিলস, ছবিটার মধ্যে যেন হারিয়ে না যায় ভক্তিটা। আমি রিলস করব, ছবিও তুলব। তবে সেগুলো পরে, আগে আমি পুজোয় মন দেব। তারপর আমি সব করলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলাম, স্মৃতির জন্য ভাল-ভাল ছবি তুলে রাখলাম। এগুলো তো খারাপ কিছু নয়। ভুল নয়। তবে একশ্রেণির ভক্তিটা নিয়ে আমার মাঝেমধ্যে প্রশ্ন আসে। ওখানে ফাঁকি দিলে চলবে না। এটা আমি খুব মানি।”