Tonic Vs Aparajito: বঙ্গবাসী ছিলাম, ব-এর তলায় কালির ফোঁটা পড়ে রঙ্গবাসী হয়ে গিয়েছি: পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
Paran Bandopadhyay: ইফিতে নাকি জায়গা পায়নি 'অপরাজিত'। আলোচনার এক্কেবারে কেন্দ্রে থেকেও, প্রশংসিত হয়েও ব্রাত্যের খাতায় থেকেছে এই ছবি। এ বিষয়ে TV9 বাংলাকে কী বলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
স্নেহা সেনগুপ্ত
২০২২ সালের অন্যতম আলোচিত এবং আলোড়ন ফেলা মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবির নাম ‘অপরাজিত’। সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ‘পথের পাঁচালী’ ছবি তৈরির গল্প বলেছিল অনীক দত্তের এই ছবিটি। ছবিতে অপরাজিত রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জিতু কামাল। চরিত্রটি তৈরি হয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের আদলে। প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্যে জিতুকে সাজানো হয়েছিল হুবহু সত্যজিতের মতোই। দর্শক চমকে গিয়েছিলেন সেই লুক দেখে। সেই ছবিতেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর গোয়ায় আয়োজিত ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (ইফি) মনোনয়ন পেয়েছে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত ‘টনিক’। এ দিকে আলোচনার এক্কেবারে কেন্দ্রে থেকেও, প্রশংসিত হয়েও ব্রাত্যের খাতায় থেকেছে ‘অপরাজিত’। এ বিষয়ে TV9 বাংলাকে কী বলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উবাচ: “মানিকদাকে সম্মান জানানোর জন্য ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে অনীক দত্ত ‘অপরাজিত’ তৈরি করেছিলেন। এদিকে দেখুন ছবিটা নন্দনে জায়গা পায়নি। কষ্ট হয়েছে আমারও। মানিকদা কি আমার একার? যাঁরা সিনেমা ভালবাসেন, যাঁরা বাংলাকে ভালবাসে, কলকাতাকে ভালবাসে, তাঁদের সকলের কষ্ট হবে। আমাদের কাজটা হল, কষ্ট বুকে চেপে রেখে অন্তঃক্ষরণে দিনপাত।
ইফিতে ‘টনিক’ গিয়েছে, কিন্তু ‘অপরাজিত’ নাকি যায়নি। ওই ছবিতেও আমি অভিনয় করেছি। কেন ছবিটা ইফিতে গেল না, সেই টেকনিক্যালিটিজ় আমার জানা নেই। সুতরাং, ওটা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্যও নেই। আমি বিষয়টা নিয়ে একেবারেই ওয়াকিবহাল নই। কীভাবে কী হয় না হয়, সেটা নিয়ে আমি কিছুই জানি না।
তবে ছবির দিক থেকে বিচার করতে গেলে এই ছবি ইফিতে যাওয়ার মতোই। সত্যিকারের একটা ভাল ছবি। সব মানুষের মুখে প্রশংসিত হয়েছে। চারদিকে তো দেখছি, উদ্দেশ্য ছাড়া এখন কিছুই হচ্ছে না। এক উদ্দেশ্য নিয়ে সব কাজই হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। বঙ্গবাসী ছিলাম, ব-এর তলায় কালির ফোঁটা পড়ে রঙ্গবাসী হয়ে গিয়েছি।”