Job Cancel Verdict: ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে যাবে কোথায়? বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
Job Cancel Verdict: "হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট বারবার যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার জন্য সময় দিয়েছে। ২০২২ সালের ৫ মে, সরকার অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য বেআইনিভাবে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল। অর্থের বিনিময়ে চাকরিরত অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি দেওয়া হল।"

কলকাতা: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল। এই তরুণ তরুণীরা কোথায় যাবেন? আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনের। তিনি বলেন, “বুক আমাদের ফেটে যাচ্ছে। এই ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে কোথায় যাবে? তাই আমি বলছি, যারা যোগ্য রয়েছে, তাদের সুযোগ দিয়ে, ইন্টারভিউ নিয়ে, কাজপত্র দেখে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। না হলে আমরা আন্দোলনে নামব। অন্তত মানবিক দিক থেকেই বিচার করা হোক।”
এদিকে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ও গ্রেফতারির দাবি করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, “হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট বারবার যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার জন্য সময় দিয়েছে। ২০২২ সালের ৫ মে, সরকার অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য বেআইনিভাবে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল। অর্থের বিনিময়ে চাকরিরত অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি দেওয়া হল।” তাঁর কথায়, “এর সম্পূর্ণ দায়ভার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই দায় নিয়েই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।”
যদিও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই রায় পুনরায় বিবেচনা করার মতো সুযোগ আছে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে হবে। সব দিক থেকে বিচার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে আরও বড় বেঞ্চে গেলে হয়তো পুনরায় বিবেচনা হবেন। পুরো রায় না দেখে মন্তব্য করব না।”
মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতার দাবি অবান্তর। কেন্দ্রে বিরুদ্ধে অনেক রায় হয় তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী কে গ্রেফতার করতে হবে। বিরোধী দলনেতা ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।”
ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষাদফতরের বিশেষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই নবান্নে পৌঁছে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দুপুর তিনটেয় বৈঠক। শিক্ষা আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছে, তা বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম।





