মৃত্যুশয্যায় উত্তমকুমার বার বার একটাই কথা বলেছিলেন, কানখাড়া করে শুনেছিলেন ডাক্তার! কী সেই কথা?
সালটা ১৯৮০। তারিখ ২৩ জুলাই। মহানায়ককে বাঁচাতে লড়ে যাচ্ছেন বেলভিউের চিকিৎসকরা। কলকাতা সেদিন দেখেছিল অঝোর বৃষ্টি। আর তার পরের দিনই সেই দুঃসংবাদ। যা শুনে কেঁপে উঠেছিল গোটা বাংলা। ২৪ জুলাই, ১৯৮০।

‘ওগো বধূ সুন্দরী’র শুটিং চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন উত্তম কুমার। সেদিন অসুস্থতা নিয়েই শট দেওয়া শেষ করেছিলেন তিনি। কাউকে টেরও পেতে দেননি তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। সেই সময় খবরে এসেছিল, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র শুটিং ফ্লোর থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু একটা বিরবির করছিলেন মহানায়ক। তবে সেদিন মহানায়কের কথা বুঝতে পারেননি কেউ। বেলভিউতে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার সুনীল সেনের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত শুরু হয় উত্তমের চিকিৎসা। তখনও অস্পষ্টভাবে কিছু একটা বলে চলেছিলেন উত্তম। সালটা ১৯৮০। তারিখ ২৩ জুলাই। মহানায়ককে বাঁচাতে লড়ে যাচ্ছেন বেলভিউের চিকিৎসকরা। কলকাতা সেদিন দেখেছিল অঝোর বৃষ্টি। আর তার পরের দিনই সেই দুঃসংবাদ। যা শুনে কেঁপে উঠেছিল গোটা বাংলা। ২৪ জুলাই, ১৯৮০। মহানায়কের মহাপ্রস্থান।
উত্তমের মৃত্যুর বহু বছর পর, তাঁর জীবনের শেষ কয়েকঘণ্টা নিয়ে এক বিনোদন ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ডাক্তার সুনীল সেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বহুদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন উত্তম। নিয়মিত ডাক্তারও দেখাচ্ছিলেন। নিয়ম মেনে ওষুধও খেতেন। তবে উত্তমকে বার বার লাইফস্টাইল বদল করার কথা বলা হত। তার উত্তরে উত্তম শুধু একটাই কথা বলতেন, আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন।
এই খবরটিও পড়ুন
২৩ জুলাই, হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যর সঙ্গে লড়তে লড়তে, চিকিৎসক সুনীল সেনকে এই একই কথাই বলেছিলেন উত্তম। ‘আমাকে বাঁচান ডাক্তার, অনেক কাজ বাকি!’ কিন্তু নিয়তি তো সেদিন অন্যকিছুই লিখেছিল। ডাক্তারদের হাজার চেষ্টাতেও বাঁচান যায়নি মহানায়ককে। জানা যায়, মৃত্যুর আগে মোট তিনবার হার্টঅ্যাটাক হয় তাঁর। ২৪ জুলাই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মহানায়ক। মহানায়কের মৃত্যুর ৪৫ বছর পরও, উত্তমের অভাববোধ করে গোটা টলিউড, অনুরাগীরা। আর তাই তো আইনক্সে যখন ‘নায়ক’ ফের মুক্তি পায়, রেকর্ড ব্যবসা করে। নতুন প্রজন্মের হাত ধরে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তমের ‘নায়ক’ অবতার। আজও তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা এতটাই।





