২৩ জানুয়ারি স্থির হয়েছিল দিন, শেষ মুহূর্তে ভাঙে মিঠুন-মমতার বিয়ে
Mithun-Mamata Relation: তাঁরা একে অপরের মনেও জায়গা করে নিয়েছিলেন অজান্তেই। তারপর সম্পর্ক এগোতে থাকে নিজের ছন্দে। প্রেম, তারপর বিয়ে, পরিকল্পনা ছিল এমনটাই। দুই পরিবার রাজি। স্থির হয়ে গেল বিয়ের দিন। ২৩ জানুয়ারি। তারপর কী এমন ঘটে, যে সেই বিয়ে বাতিল হয়ে যায়?
“মৃগয়া” ছবি, রাতারাতি পাল্টে দিয়েছিল মমতা শঙ্করের জীবন। মিঠুন চক্রবর্তী তখন অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেছেন। এই ছবির জন্য মিঠুন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তাঁদের একসঙ্গে কাজ বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের মনে আলাদা জায়গা তৈরি করেছিল। পাশাপাশি তাঁরা একে অপরের মনেও জায়গা করে নিয়েছিলেন অজান্তেই। তারপর সম্পর্ক এগোতে থাকে নিজের ছন্দে। প্রেম, তারপর বিয়ে, পরিকল্পনা ছিল এমনটাই। দুই পরিবার রাজি। স্থির হয়ে গেল বিয়ের দিন। ২৩ জানুয়ারি। তারপর কী এমন ঘটে, যে সেই বিয়ে বাতিল হয়ে যায়? ‘নবনীতা অনলাইন’ চ্যানেলে প্রেম-সম্পর্ক-মিঠুন নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় মমতা শঙ্কর জানালেন বহু অজানা কথা।
মমতা শঙ্কর বলেন, “১৭৮০-এ দু’জনেই বিয়ে করি। সেই বছর আমার আবার বাপিদার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হল। প্রথম থেকে তো বাপিদাই ছিলেন। এত বছরের জীবনে বাপিদার সঙ্গে যখন থেকে আলাপ, তখন থেকে আমায় কেউ টলাতেই পারেনি। তারপর মৃগয়া করতে গিয়ে বাপিদার সঙ্গে আমি মিঠুনের আলাপ করিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর আমরা শুটে ব্যস্ত। আর তখন কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল। আমি একেবারে নিজেকে কোনওভাবে ধরে রেখেছিলাম, যে নাহ, এটা কোনওভাবে হতে পারে না। কারণ বাপিদার প্রতি আমি এতটাই প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। এটা হতে পারে না। এমন হতে হতে কখন কোথায় যে হয়ে গেল বিষয়টা, বুঝতে পারিনি। একদিকে ভীষণ ভাল হয়েছিল এটা হওয়াতে, আমি বাপিদাকে আরও ভালভাবে চিনতে পেড়েছি। কারও সঙ্গে এটা না ঘটলে আমি বাপিদাকে এতটা ভালভালে বুঝতে পারতাম না। তখন আবার মিঠুনের পরিবারের সঙ্গে আমার ভীষণ ভাল সম্পর্ক।”
কীভাবে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তের কথা মিঠুনকে জানিয়ে ছিলেন মমতা? বললেন– “বিয়ে ঠিক হওয়ার পর আমি মিঠুনকে সবটা বলি। সেটা এক মজার ঘটনা। এক স্টুডিও-তে দেখা। আমি মিঠুনকে বলেছিলাম– শোন তুই ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় আছিস? ও উত্তরে বলল– কেন? তুই বিয়ে করছিস? আমি বললাম– হম। উত্তরে ও বলল– আমিও বিয়ে করছি। আমি বললাম- তাই! কাকে? বলল– এখনও ঠিক হয়নি।”
তবে এই সম্পর্ক ভাঙল কেন? উত্তরে মমতা শঙ্কর বলেন, “তখন সবে ও কেরিয়ার শুরু করেছে, স্ট্রাগেল পেড়িয়ে ও তখন সবে ছবি পেতে শুরু করেছে। তখনই ও বিয়ে করতে রাজি ছিল না। বলেছিল ২ বছর সময় লাগবে। বিয়ের তারিখটা পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। আমার তখন ঠিক আত্মসম্মানে লাগেনি, তবে দুই বাড়ি থেকেই বিয়েটা হয়ে যাক। যখন বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল ওর আর আমার, তখন ও সেভাবে ছহি পাচ্ছিল না। তবে বিয়ের তারিখ যখন এগিয়ে আসে, সেই সময় ওর কেরিয়ার দাঁড়াতে শুরু করে। তাই ও কিছুটা সময় নিতে চেয়েছিল। এটাতে কোথাও ভুল নেই। আমি বঝি। তবে আমার পরিবার কোনও গসিপ, সমালোচনা চাইত না। সবাই জেনে গিয়েছে, তখন একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি। তবে যেটা হয়েছিল, সেটা ভালর জন্যে হয়েছিল বলে আমি মনে করি।”