মধ্যরাতে সেটে নায়িকার ঘুম, সঞ্জয়লীলার রোশের মুখে পড়তেই…
অনেকক্ষণ ধরেই সেই শুটিং চলছিল। তখন রাত তিনটে বাজে। বাচ্চাটিকে যতবার শুইয়ে দেওয়া হচ্ছিল, ও সত্যিকারেরই ঘুমিয়ে পড়ছিল। দু’তিন বার একই ঘটনার পর সঞ্জয় মারাত্মক রেগে যায়।

সঞ্জয় লীলা ভনসালি– বলিউডের নামজাদা পরিচালক তিনি। তাঁর ব্যবহার নিয়ে অতীতে মুখ খুলেছেন অনেকেই। অনেকেরই মতে রাগ নাকি কিছুতেই সংবরণ করতে পারেন না ভনসালি। অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল তাঁর ছবি ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র সেটে। আলিয়া যদি না থাকতেন তবে ভনসালির কোপে পড়তে হতো এক শিশুশিল্পীকে। এই ঘটনাই সামনে এনেছেন অভিনেত্রী সীমা পাওয়া, যিনি ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শিলার চরিত্রে। তাঁর কথায়, “একটা দৃশ্য ছিল যেখানে এক বাচ্চা মেয়েকে ঘুমোনের ভান করতে হবে। ঘুম থেকে উঠে একটি সংলাপ বলতে হবে।
অনেকক্ষণ ধরেই সেই শুটিং চলছিল। তখন রাত তিনটে বাজে। বাচ্চাটিকে যতবার শুইয়ে দেওয়া হচ্ছিল, ও সত্যিকারেরই ঘুমিয়ে পড়ছিল। দু’তিন বার একই ঘটনার পর সঞ্জয় মারাত্মক রেগে যায়। এমন সময়েই আলিয়া ভাটের এন্ট্রি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাচ্চাটিকে কাছে নিয়ে ও বলে, “যখনই তোমাকে আমি কোলে টেনে নেব তখনই তুমি তোমার সংলাপটা বলে ফেলবে।”
সীমা যোগ করেন, “আলিয়ার তো কোনও স্বার্থ ছিল না, তবু কিন্তু এগিয়ে এসে এমনটা বলেছিল ও।” আলিয়া স্টারকিড। তাঁর বাবা মহেশ ভাট পরিচালক। দিদি পূজা ভাট অভিনেত্রী। এরকম একটা ফিল্মি পরিবার থেকে আসা আলিয়ার খুব দাম্ভিক হবে, এমনটাই ভেবেছিলেন সীমা। তবে তাঁর সেই আশঙ্কাকে নস্যাৎ করে শিশুর মতো সকলের সঙ্গে মিশতেন আলিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন সীমা।
