‘বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা!’ ইমরানের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অপ্রস্তুতে তনুশ্রী, তারপর…
প্রায় ১৯ বছর আগে মুক্তি পায় ‘আশিক বনায়া আপনে’। এবং সেই ছবিতে বিছানায় সঙ্গমের দৃশ্য শুট করার সময় রীতিমতো নাকের জলে, চোখের জলে হতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। কেন জানেন?

একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে টিনএজ ছেলেমেয়েদের সামনে শিহরণ জাগানো অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে তুলে ধরেছিল যে ছবি, তা হল ‘আশিক বনায়া আপনে’। সেই ছবির টাইটেল ট্র্যাকে ছিল এমন এক রোমহর্ষক বিষয়, যা আজও ভুলতে পারেনি ৩০ পার করা সেই ‘টিনএজ’ প্রজন্ম। বিষয়টা এখনও জিয়া নস্ট্যাল করে দেয় তাঁদের। গানে ইমরান হাশমি এবং বঙ্গতনয়া তনুশ্রী দত্তর অন্তরঙ্গ প্রেম দেখেই মন হয়েছিলেন অধিকাংশ।
প্রায় ১৯ বছর আগে মুক্তি পায় ‘আশিক বনায়া আপনে’। এবং সেই ছবিতে বিছানায় সঙ্গমের দৃশ্য শুট করার সময় রীতিমতো নাকের জলে, চোখের জলে হতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। কেন জানেন? ‘আশিক বনায়া আপনে’ গানটির অন্তরঙ্গ দৃশ্য শুট করার সময় তনুশ্রীর ঘরে ছিলেন সক্কলে। গোটা ইউনিট।
অন্তরঙ্গ দৃশ্যে লিপলক ছিল। টপলেস হয়েছিলেন তিনি। পোশাক খোলা এবং শয্যাদৃশ্য ছিল তাঁর। বিষয়টায় খুবই ভয় পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। এর বিবরণ দিতে গিয়ে তনুশ্রী বলেছিলেন, “আমি বিষয়টায় স্বচ্ছন্দ ছিলাম না একেবারেই। ইমরানের সঙ্গে এই দৃশ্যটায় অপ্রস্তুত ছিলাম খুব। কিন্তু তাতে কারও কিছু যায় আসেনি। প্রচুর লোক ছিল ঘরে, ইউনিটের সব্বাই। তার মধ্যে ঘনিষ্ঠ হতে গিয়ে বারবার এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছিল, মেকআপ যেন নষ্ট না হয়। যেন দেখতে ভাল লাগে আমাদের দু’জনকে…”
যে সময় ‘আশিক বনায়া আপনে’ ছবিতে কাজ করেছিলেন তনুশ্রী, তিনি মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক্কেবারে নতুন ছিলেন। ফলে, অত লোকের সামনে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল তাঁর। বলেছিলেন, “পোশাক খোলার আগে সিঁড়ির মধ্যে ইমরানকে যখন জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছিলাম, আমাদের উপর আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” এই আলোতেই কার্যত ঝলসে যায় তনুশ্রীর মুখ; যারপরনাই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে এগুলো নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা! তবে ক্যামেরার কাজ ছিল দারুণ। ক্যামেরার কারণেই সিনগুলো পরবর্তীতে সুন্দর দেখতে লেগেছিল।”
