Liver Health: সদ্য ফ্যাটি লিভার ধরা পড়েছে? গরমে এই ৬ খাবার রোজ খান

Summer Foods: গরমে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন না হলে কিন্তু আরও মুশকিল। লিভারের সমস্যা বাড়বেই। তাছাড়া এই মরশুমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এটাও প্রভাব ফেলে লিভারের স্বাস্থ্যের উপর। এই অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু খাবার রোজের ডায়েটে রাখতে হবে।

Liver Health: সদ্য ফ্যাটি লিভার ধরা পড়েছে? গরমে এই ৬ খাবার রোজ খান
Follow Us:
| Updated on: Apr 21, 2024 | 11:44 AM

মেটাবলিজম বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে শরীরকে ডিটক্সিফিকেশনের মতো একাধিক কাজ সম্পন্ন করে লিভার। অথচ, এই লিভারের স্বাস্থ্য নিয়েই বেশিরভাগ সচেতন নয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জেরে লিভারের উপর চর্বি জমতে থাকে। যে অবস্থা ফ্যাটি লিভার নামে পরিচিত। এই গরমে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন না হলে কিন্তু আরও মুশকিল। লিভারের সমস্যা বাড়বেই। তাছাড়া এই মরশুমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এটাও প্রভাব ফেলে লিভারের স্বাস্থ্যের উপর। এই অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু খাবার রোজের ডায়েটে রাখতে হবে। তবেই গরমে সচল থাকবে লিভারের কার্যকারিতা।

তরমুজ: গরমকালের সেরা ফল তরমুজ। শরীরকে হাইড্রেটেড করার পাশাপাশি লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এই ফল। লাইকোপেন ও ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর তরমুজ লিভারকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের হাত থেকে বাঁচাবে। তাছাড়া এই ফলের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকায়, এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। পাশাপাশি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।

শাকসবজি: যে কোনও ধরনের শাকসবজি শরীরের জন্য উপকারী। এগুলো শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এছাড়া শাকের মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারের প্রদাহ কমায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।

এই খবরটিও পড়ুন

হলুদ: হলুদের মধ্যে কারকিউমিন যৌগ, দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হিসেবে কাজ করে। রোজ হলুদ খেলে লিভারে অক্সিডেটিভ চাপ ও প্রদাহ কমে। লিভার-বুস্টিং ফুডও বলা হয় হলুদকে।

লেবুজাতীয় ফল: পাতিলেবু, মুসাম্বি লেবুর মতো ফলে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। গরমে লেবুর জল খেলে শরীরও হাইড্রেটেড থাকবে এবং লিভারে জমে থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে।

গ্রিন টি: গ্রিন টিয়ের মধ্যে ক্যাটেচিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে এবং লিভারের কার্যকারিতা সচল রাখে। এছাড়া নিয়মিত গ্রিন টি খেলে লিভারে ফ্যাট জমে না, প্রদাহ কমে এবং লিভারের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

ফ্যাটি ফিশ: সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না। নন-অ্যালকোলিক ফ্যাটি লিভারে নিয়মিত মাছ খান।