Coconut Water Benefits: নারকেল জল খাওয়ার এই ৭ টি স্বাস্থ্যকর দিক জেনে নিন
গবেষণায় দেখা গেছে যে নারকেলের জল আপনার নিয়মিত স্পোর্টস ড্রিঙ্ককেও স্বাস্থ্যকর, কম ক্যালোরি, উচ্চ পটাসিয়াম, কম সোডিয়াম এবং উচ্চ ইলেক্ট্রোলাইটের দিক থেকে প্রতিস্থাপন করতে পারে।
নারকেল জল ভারত এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পছন্দ হয়ে এসেছে। চিনি এবং ইলেক্ট্রোলাইটের আকারে সহজে হজমযোগ্য কার্বস দিয়ে ভরা থাকে নারকেলের জল। এটি আপনার ত্বক, হৃদপিণ্ড, চুল, রক্তচাপ এবং হজমের জন্য নানান দিক দিয়ে খুব সাহায্য করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি আপনার নিয়মিত স্পোর্টস ড্রিঙ্ককেও স্বাস্থ্যকর, কম ক্যালোরি, উচ্চ পটাসিয়াম, কম সোডিয়াম এবং উচ্চ ইলেক্ট্রোলাইটের দিক থেকে প্রতিস্থাপন করতে পারে।
ডায়েটিশিয়ান গরীমা গোয়ালের মতে নারকেল পানির গঠন (২০০ মিলি):
- কার্বোহাইড্রেট: ৯ গ্রাম
- ফাইবার: ১.৫ গ্রাম
- চর্বি: ০.৩২ গ্রাম
- প্রোটিন: ০.৪৫ গ্রাম
প্রতিদিন খাওয়ার বিচারে,
- ভিটামিন সি: ১০% (প্রস্তাবিত দৈনিক খাওয়ার)
- ম্যাগনেসিয়াম: ১৫%
- ম্যাঙ্গানিজ: ১৭%
- পটাসিয়াম: ১৭%
- সোডিয়াম: ১১%
- ক্যালসিয়াম: ৬%
নারকেল জল খাওয়ার উপকারিতা:
গোয়েল নারকেল জলের উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত বলেছেন,
১) ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে:
নারকেলের মধ্যে সাইটোকাইন আছে বলে জানা যায় যা একটি সুপরিচিত অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট। এছাড়াও, এটি আপনার ত্বককে হাইড্রেট করে যার ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল থাকে। নারকেলের জল আপনার ত্বকের বলিরেখা এবং ছোট খাটো দাগের পরিমাণ কমায়। ত্বকের হাইড্রেশন এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নারকেলের পানি পান করলে আপনার দেহ কেবল গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিই পায় না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বক এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে খুব ভাল ভাবে কাজ করে।
২) চুলের জন্য নারকেলের জল একটি টনিক:
যদি আপনি চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় থাকেন, তাহলে চুলের কোষের বৃদ্ধির জন্য নারকেল জল খাওয়া একটি ভাল উপায়। কারণ এটি মাথার ত্বকে উপযুক্ত পুষ্টির যোগান দিয়ে চুলকে শক্তিশালী রাখে। এছাড়া, নারকেলের জল রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। রক্তের অনেকগুলি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে মিলিত হয় নারকেলের জল চুলের স্ট্র্যান্ডগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৩) হজমের উন্নতি করে:
নারকেল জল স্বাভাবিকভাবেই সতেজ এবং আমাদের শরীরে উপস্থিত সোডিয়ামের পরিমাণ কমায় যা ফুলে যাওয়া এবং গ্যাসের জন্য দায়ী। ফাইবার বেশি থাকায় এটি আমাদের পাচনতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে।
৪) পানিশূন্যতা রোধ করে:
হজমে সাহায্য করা ছাড়াও নারকেল জল ডিহাইড্রেশন এবং হ্যাংওভার কাটানোর অন্যতম সেরা প্রতিকার। এটি আপনার শরীরের হারানো পুষ্টি পুনরায় ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
৫) হাড় মজবুত করে:
নারকেল জল হাড়কে আরও শক্ত করে এবং এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। এইভাবে অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপেনিয়া ইত্যাদির মতো রোগের প্রাথমিক সূচনা প্রতিরোধে দারুণভাবে এফেক্টিভ নারকেলের জল।
৬) অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে:
নারকেল জল আপনার শরীরে পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে, যার ফলে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা কমে যায়।
৭) রক্তচাপ কমায়:
নারকেল জল শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ, উচ্চ রক্তচাপ, এবং কোলেস্টেরল কমানোর জন্য আপনি প্রতিদিনের ডায়েটে নারকেল জলকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আপনার শিশুর ইমিউনিটি বাড়াতে যোগব্যায়াম কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন