কত কম সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট? জানাল নতুন গবেষণা

Coronavirus: ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাস নিজের প্রতিলিপি বা অনুলিপি তৈরি করে, যা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এই পরিবর্তনকেই মিউটেশন বলে। একটি ভাইরাসের এক বা একাধিক মিউটেশনকে মূল ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট বলা হয়।

কত কম সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট? জানাল নতুন গবেষণা
মূল ভাইরাসের তুলনায় এর সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 7:47 PM

করোনা ভাইরাস খুব দ্রুত নিজের চরিত্র বদল করে ফেলছে। এ কথা গবেষণার প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গোটা বিশ্বকে এক লহমায় থামিয়ে দেওয়াা করোনা ভাইরাসের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যে কতটা বিপদজনক হতে পারে তার প্রমাণ মিলল সাম্প্রতিক গবেষণায়। জানা গিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট B.1.617.2 অত্যন্ত বেশি সংক্রামক, দ্রুত রোগীর দেহ থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত ভারত, ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে ডমিন্যান্ট স্ট্রেন হিসেবে ব্যখ্যা করা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাস নিজের প্রতিলিপি বা অনুলিপি তৈরি করে, যা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এই পরিবর্তনকেই মিউটেশন বলে। একটি ভাইরাসের এক বা একাধিক মিউটেশনকে মূল ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট বলা হয়। SARs-COV-2-এর বহুবার মিউটেশন হয়েছে। বহু স্ট্রেনে ভেঙে গিয়েছে। গবেষকদের দাবি, আজ পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই সবথেকে বেশি ডমিনেট করছে।

সূত্রের খবর, গত অক্টোবরে মহারাষ্ট্রে প্রথম ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। মনে করা হচ্ছে, E484Q এবং L452R-এর মধ্যবর্তী স্তরে এর মিউটেশন হয়েছে। সে কারণেই মূল ভাইরাসের তুলনায় এর সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি।

মূল করোনা ভাইরাসে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণত দেখা গিয়েছে উপসর্গ দেখা দেওয়া এবং টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসার মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়দিন সময় ছিল। আক্রান্ত রোগীর থেকে তৎক্ষণাৎ অন্য কারও সংক্রমণের আশঙ্কা ছিল না বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের টাইমলাইন আলাদা। উপসর্গ দেখা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন রোগী। এমনকি রক্তে ভাইরাল লোডের পরিমাণও অনেক বেশি নজরে এসেছে চিকিৎসকদের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ওরফে ভিওসি নামকরণ করা হয়েছে। উপসর্গ দেখা দেওয়ার দুদিনের মধ্যে টেস্ট করালেই পজিটিভ দেখা যাচ্ছে অনেকের।

গোটা বিশ্বই এই মুহূর্তে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কিত। এর জন্য কড়া কোভিড নির্দেশিকা জারি করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি। এই মারাত্মক ভাইরাস যে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই প্রভাবিত করে , তাই নয়, শিশুদের জন্য এই ভাইরাস সমান ভয়ঙ্কর। আমেরিকার স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, অন্যান্য সমস্ত প্রকারের থেকে ডেল্টা অনেক বেশি ক্ষতিকর। এটি কতটা মারাত্মক তা বলতে গিয়ে মার্কিন এই স্বাস্থ্য সংস্থা তুলনা টেনেছে স্মল পক্স বা গুটি বসন্তের। ঠিক যে ভাবে স্মল পক্স ছড়ায় সে ভাবেই এই ভ্যারিয়েন্ট শরীরে ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। ইউএস হেলথ অথরিটির অপ্রকাশিত এক রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশে বিশেষ চর্চা শুরু হয়েছে। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, সেন্টার্স ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর অপ্রকাশিত দস্তাবেজ বলছে, টিকার পুরো ডোজ় নিয়েছেন এমন ব্যক্তিও এই ভ্যারিয়েন্টের ‘স্প্রেডার’ হতে পারেন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়া বা না নেওয়া ব্যক্তির মধ্যে খুব একটা তফাৎ নেই বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, হ্রাস পেতে পারে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান!