Coronavirus: হ্রাস পেতে পারে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান!
টিকার ঘাটতি পূরণ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র। তবে বিশেষজ্ঞরা দাবি জানিয়েছিলেন যে, এই সিদ্ধান্ত নতুন আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে নেওয়া হচ্ছে।
কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান কমানোর চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার এএনআই নামক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমানোর বিবেচনা করা হচ্ছে এবং সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়ারি গ্রুপ অন ইম্যুনাইজ়েশনে এটি আরও আলোচনা করা হবে।
কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ড: এনকে আরোরা জানান যে, সরকার কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস করতে পারে, কিন্তু সেটা শুধুমাত্রই ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষদের জন্য। তিনি আরও জানান যে, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে পর্যালোচনার জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। এনটিএজিআই নিয়মিত ভাবে ভ্যাকসিন কার্যকারিতার ওপর তথ্য পর্যালোচনা করছে এবং এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড, কোভাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি-এর জন্য ডোজের ব্যবধান পরিবর্তনের কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
Programmatic data collection processes are on to assess vaccine effectiveness. NTAGI reviewing vaccine effectiveness data on regular basis. Currently, there’s no proposal for change in dose interval for COVISHIELD, COVAXIN & SPUTNIK V under consideration: NTAGI Chief Dr NK Arora pic.twitter.com/yc6Ylq9mv3
— ANI (@ANI) August 26, 2021
বর্তমানে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। ভারতে যখন টিকাকরণ শুরু হয়েছিল তখন কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ছিল ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। এরপর তা বাড়িয়ে করা হয় ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ। তারপরই তা বেড়ে হয় ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়লেও ভারতে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান এখনও ৪ থেকে ৬ সপ্তাহই রয়েছে।
ভারতে যে মুহূর্তে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখন বিষয়টি বিতর্কের মুখোমুখি হয়। ধারনা করা হয়েছিল যে, টিকার ঘাটতি পূরণ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র। তবে বিশেষজ্ঞরা দাবি জানিয়েছিলেন যে, এই সিদ্ধান্ত নতুন আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে নেওয়া হচ্ছে, কারণ গবেষণায় দেখা গেছে ডোজের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান শরীরে আরও অ্যান্টিবডি তৈরি করে। জুন মাসে ভারতে ডোজের ব্যবধান বাড়ানোর পর গবেষণায় দেখা যায় যে কোভিশিল্ডের প্রথম শট আরও কার্যকরী ছিল। এরপরই অন্যান্য দেশে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমানো হয়।
বিশ্বব্যাপী কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের কার্যকারিতা সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। বর্তমানেও ভারতে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিয়মিত ভাবে স্থানীয়দের ওপর গবেষণা চলছে।
আরও পড়ুন: নয়া করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট আরও মারাত্মক! কোভিড-২২ নিয়ে সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের