কোভিড পরবর্তী সময়ে বেড়েছে থাইরয়েডের সমস্যা। পুরুষদের থেকেও মহিলারা বেশি আক্রান্ত এই সমস্যায়। শরীর সুস্থ রাখতে ভূমিকা রয়েছে থাইরয়েড হরমোনের। আর এই হরমোন কম-বেশি ক্ষরণ হলেই সেখান থেকে বিভিন্ন সমস্যা আসে। থাইরয়েডাইটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোথাইরয়েডিজম, গ্রেভস ডিজিজি, থাইরয়েড ক্যানসারের সম্ভাবনা থেকে যায়।
হঠাৎ করে ওজন বাড়লে, শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গেলে সেখান থেকেও থাইরয়েডের সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, গলার স্বর পরিবর্তন, স্ট্রেস বাড়লেও থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা হয়।
থাইরয়েড ডায়াবেটিসের মতই লাইফস্টাইল ডিজিজ। আর তাই বছরে একবার থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তিনি যা ওষুধ দেবেন, যেমন ডোজ নির্ধারণ করে দেবেন সেই ভাবেই খেতে হবে।
ব্রাজিল নাটের মধ্যে থাকে সেলেনিয়াম, যা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে দিনের মধ্যে ৩-৪ টে এই বাদাম খেতেই পারেন। থাইরয়েড ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই ব্রাজিল নাট। সকালে খালি পেটে এই বাদাম খেতে পারলে খুবই ভাল।
থাইরয়েডের জন্য সেরা খাবার খেজুর। এর মধ্যে যেহেতু আয়োডিন এবং আয়রন রয়েছে। তাই খেজুর খেলে থাইরয়েড হরমোন- T3 এবং T4 উৎপাদনে সাহায্য করে। তিন থেকে চারটে খেজুর সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা খান। এতেও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওষুধ ছাড়াও নিয়মিত ভাবে এই কয়েকটি খাবারও খান। এতে উপকার হবে আপনারই। থাইরয়েড থাকলে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকোলি এসব একেবারেই খাবেন না। পরিবর্তে এই সব বাদাম, বীজ বেশি করে খান। থাইরয়েড রুখতে খুব ভাল কাজ করে ব্রাজিল নাট। আর তাই তালিকায় এই বাদাম রাখতেই হবে।
পেস্তার মধ্যে ফাইবার, মিনারেল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এটি রক্তের শর্করা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। সন্ধ্যের জলখাবার হিসেবেই পেস্তা খান।