বসন্তের শুরুতে প্রতি বছরই বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। হাম,পক্স, কাশির মত সমস্যা বাড়ে। গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি এসব এখন ঘরে ঘরে। কাশি একবার শুরু হলে কিছুতেই তা থামতে চাইছে না। প্রায় টানা ১০ দিন সকলেই ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেই হবে না। মেনে চলতে হবে এই সব টোটকাও।
রান্নাঘরে থাকা এই সব ভেষজ উপাদান দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে পারেন আপনিও। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল কাজ করে আদা। আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহবিরোধী গুণ। যা গলার ব্যথা কমায়। শুকনো কাশির ক্ষেত্রে খুব ভাল ওষুধ হল আদা। বমি, গলা ব্যথা দূর করতেও তা কার্যকরী।
মধুও খুব ভাল কাজ করে। এককাপ চায়ের মধ্যে সামান্য মধু মিশিয়ে খান। তবে লিকার চা খেতে হবে। এতেই কাজ হবে।
আদা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি থেঁতো করে তেজপাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। এবার এর মধ্যে সামান্য মধু মিশিয়ে বারে বারে খেতে থাকুন। এতেও কিন্তু গলা ব্যথা, খুশখুশে কাশি অনেকটাই কমে।
রোজ স্নান করুন। তবে খুব ঠান্ডা জলেও যেমন স্নান করবেন না তেমনই গরম জলেও নয়। ঠান্ডা-গরম জল মিশিয়ে নিয়ে স্নান করুন। প্রয়োজনে একটি পাত্রে জল গরম করে নিয়ে ভাপার নিন। ভেপার নেওয়ার পর কিন্তু ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
নুন জলে গার্গল করুন। গলা ব্যথা বা গলায় সংক্রমণ হলে তা খুব ভাল কাজ করে। গরম জল করে নেবেন। দিনের মধ্যে দুবার থেকে তিনবার পর্যন্ত গার্গল করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন।
বার বার লিকার চা খেতে পারেন। এতে কোনও রকম সমস্যা হবে না। বরং গলায় আরাম লাগবে। খসখসে ভাব কমবে আর শুকনো কাশিও তুলনায় অনেক কম হবে। ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা বা পক্সে শরীরের একটা ক্লান্তি থাকেই। এই ক্লান্তি দূর করতে রোজ দুবেলা গরম স্যুপ খান। সবজি, চিকেন কর্ন এসব দিয়েই বানিয়ে নিয়ে পারেন।