Heart Attack: বিস্কুট ছাড়া চা খেতে পারেন না? বারোটা বাজছে হার্টের, বলছে গবেষণা
Stroke: খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও সবসময় অসুস্থ থাকে। কারণ তাঁরা চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খান। এ জন্য গবেষকরা কয়েকদিন ধরে খাদ্যাভ্যাসের ওপর কড়া নজর রাখেন। এবং গবেষণার ফল হিসেবে উঠে এসেছে এই তথ্য।

চায়ের নেশা বাঙালির বরাবর। তবে শুধু চাতেই সীমিত নেই নেশা, সঙ্গে বিস্কুট, কেক, চিপস এসব না হলেও ঠিক জমে না। আর এতেই বাড়ছে বিপদ। গবেষণায় উঠে এসেছে এর চাঞ্চল্যকর তথ্য়। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খেলে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি। ব্রিটেনে এই বিষয়ে একটি গবেষণায় বলা হয়েছে। এই গবেষণার পরে, ব্রিটিশ সরকার খাবারের মেনু থেকে বিস্কুট এবং কেকের মতো স্ন্যাকস বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। লন্ডনের গবেষকরা ৮৫০ জনেরও বেশি মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। কেন এমনটা হচ্ছে?
রক্তে শর্করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়:
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা বেশি জাঙ্ক ফুড খান তাঁরা সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও কোনোও উপকার পাননি। এসব মানুষের মধ্যে স্ট্রোক, হৃদরোগ এমনকি স্থূলতার ঝুঁকিও বাড়ছে। শুধু তাই-ই নয়,এই মানুষদের রক্তে শর্করার পরিমাণও বেশি পাওয়া গিয়েছে।
এই খবরটিও পড়ুন
খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, কিছু মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও সবসময় অসুস্থ থাকে। কারণ তাঁরা চায়ের সঙ্গে বিস্কুট বা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খান। এ জন্য গবেষকরা কয়েকদিন ধরে ৮৫৪ জনের খাদ্যাভ্যাসের ওপর কড়া নজর রাখেন। এদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মানুষ সকালের জল খাবার সঠিক সময় খেয়েছেন। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশনিস্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা বলেছেন, ২৬ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলেও তাঁরা ভাজাভুজি জাতীয় অস্বাস্থ্যকর থাবার খেয়ে সমস্ত পুষ্টি নষ্ট করে ফেলেছেন। এই মানুষদের স্বাস্থ্যের ধীরে-ধীরে অবনতি হতে শুরু করছে। বেশিরভাগ মানুষ ব্রেকফাস্টে কুকিজ, ফল, বাদাম, বীজ, পনির, মাখন, কেক, বিস্কুট, কেক ইত্যাদি খেয়েছেন, তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়েছে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই সতর্ক হন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।