World Malaria Day 2022: গর্ভাবস্থায় ম্যালেরিয়া কতখানি প্রভাব ফেলে গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যে?
Pregnancy And Child Health: গর্ভবতী মায়েদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনায় অনেকটাই কম থাকে। আর এই সময় যদি ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডে বা ডেঙ্গুর মত সংক্রামক কোনও রোগ হয় তাহলে কিন্তু প্রভাব পড়ে ভ্রূণের উপরেও
Malaria On Pregnancy: গত দু’বছরে করোনার প্রকোপে অন্য সব রোগের কথা আমরা ভুলতে বসেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মত সংক্রামক রোগ বিদায় নিয়েছে। এই সব কয়েকটি রোগেই প্রধান উপসর্গ হল জ্বর। সেই সঙ্গে ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যার সঙ্গে মিল রয়েছে কোভিডের। একটা সময় যক্ষা, ম্যালেরিয়ার প্রকোপে প্রচুর মানুষ মারা যেতেন। সাধারণত ম্যালেরিয়ার জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত মশার কামড়ের ১০-১৫ দিনের মধ্যে যাবতীয় ম্যালেরিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে কাঁপুনিও থাকে। ভারতের মধ্যে বিহার, ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, ছত্তিশগড় এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কিন্তু সবচেয়ে বেশি। অতীতে এই সব অঞ্চলে দেখা দিয়েছে মহামারী। প্রতি বছর এই ২৫ এপ্রিল দিনটি বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
গর্ভাবস্থা হল আদতে ইমিউনোসপ্রেসিভ পর্যায়। আর তাই এই সময় যে কোনও রকম রোগ সংক্রমণণ জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পায়। যে কারণে ম্যালেরিয়া-সৃষ্টিকারী পরজীবীদের জন্য অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়েন গর্ভবতী মহিলারা। সহজে যেমন তাঁদের শরীরে সংক্রমণ জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পায় তেমনই কিন্তু তাঁদের শারীরিক অবস্থাও জটিলতার দিকে যেতে পারে। এমনকী যে খান থেকে থাকে মৃত্যুর সম্ভাবনাও। বেঙ্গালুরুর আলটিয়াস হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ বি রমেশ ইন্ডিয়া.কম-কে বিশেষ একচি সাক্ষাৎকার দেন। আর সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় ম্যালেরিয়া হলে শরীরে তার কী কী প্রভাব পড়তে পারে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, গর্ভবতী মহিলারা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে ঝুংকির সম্ভাবনা থেকে যায় গর্ভবতী মায়েদের। আর এই সংক্রমণের সরাসরি প্রভাব পড়ে প্লাসেন্টার উপরে। ফলে তখন মা আর শিশু দুজনেরই জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলারা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে যে সব উপসর্গ দেখা দেয়-
*ঠান্ডা লাগা, সর্দি-হাঁচির সঙ্গে জ্বর *হাত পা শক্ত হয়ে যাওয়া *মাথাব্যথা *পেশীর ব্যথা *জয়েন্টে ব্যথা *শরীরে অস্বস্তি *বমি বমি ভাব *পেটে ব্যথা *ডিহাইড্রেশন *অ্যানিমিয়া
গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে যদি এই উপসর্গগুলি দেখা যায় তাহলে কিন্তু প্রথম থেকেই সতর্ক থাকবেন। সমস্যা ফেলে না রেখে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যে সব মহিলারা প্রথম বারের জন্য গর্ভবতী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কম থাকে। এবং তখন প্লাসেন্টা জুড়ে যে IgG অ্যান্টিবডিগুলি তৈরি হয় সেগুলি নিষ্ক্রিয় থাকে। যে কারণে তখন মা ও গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকখানি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Diabetes: বাড়িতে কোন সময়ে সুগার মাপলে সঠিক ফল পাবেন? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
