Monsoon Health Tips: বর্ষা এলেই বাড়ে পেট খারাপ, ডেঙ্গুর প্রকোপ, কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?

Water-related Diseases: বর্ষাকালে ভয় ধরায় জলবাহিত ও মশাবাহিত রোগ। বৃষ্টির জমা জল পুকুর-নালার জলকে দূষিত করে, সেখান থেকে ডায়ারিয়া ও পেটের সমস্যা দেখা দেয়। আবার বৃষ্টির জল জমে মশার উৎপত্তি বাড়ে। সেখান থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেয়।

Monsoon Health Tips: বর্ষা এলেই বাড়ে পেট খারাপ, ডেঙ্গুর প্রকোপ, কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
Follow Us:
| Updated on: Jul 03, 2024 | 11:57 AM

বঙ্গে এখন বর্ষা। কখনও ঝমঝমিয়ে আবার কখনও টিপটিপ করে, সারাদিন বৃষ্টি পড়েই চলেছে। এই বর্ষার হাত ধরেই কিন্তু আপনার ঘরে রোগ ঢোকে। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত এই মরশুমে তাঁদের সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এছাড়াও এই মরশুমে ভয় ধরায় জলবাহিত ও মশাবাহিত রোগ। বৃষ্টির জমা জল পুকুর-নালার জলকে দূষিত করে, সেখান থেকে ডায়ারিয়া ও পেটের সমস্যা দেখা দেয়। আবার বৃষ্টির জল জমে মশার উৎপত্তি বাড়ে। সেখান থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেয়। তাই প্রথম থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে রোগ এড়াতে পারবেন, রইল টিপস।

১) নোংরা জল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। জামাকাপড় কাচা হোক বাসন মাজা, কিংবা স্নান করা, চেষ্টা করুন বাড়ির জলই ব্যবহার করার। পুকুরের জল বা রাস্তার ধারের কল ব্যবহার করবেন না। পাশাপাশি বাড়ির ট্যাঙ্ক নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

২) বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি ভোগায় পেটের রোগ। শুধু দূষিত জল পান করলে যে পেটের গণ্ডগোল দেখা দেয়, এমন নয়। আপনি যদি নোংরা জলে মুখ-হাত পরিষ্কার করেন, স্নান করেন তাহলেও জলবাহিত রোগ দেখা দিতে পারে।

এই খবরটিও পড়ুন

৩) ছাদবাগানের টব, বাড়ির বাইরে পড়ে থাকা ভাঙা জিনিসপত্রে যেন বৃষ্টির জল না জমে সে দিকে খেয়াল রাখুন। জমা জলই মশার আঁতুড়ঘর। এখানেই মশা ডিম পাড়ে এবং ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগে ছড়ায়। এছাড়া মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

৪) বর্ষাকালে রোগের ঝুঁকি এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল খান। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। এছাড়া পাতে রাখুন মরশুমি ফল ও সবজি। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা এড়াতে পারবেন।

৫) বাইরের খাবার একেবারে এড়িয়ে পড়ুন। ভাজাভুজি, ফলের রস, ফাস্ট ফুড এই সময় খাবেন না। আর খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই হাত ধুয়ে খাবার খান।

৬) পেট খারাপ হলে আগে দেখুন প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে ওআরএস-এর জল খেতে হবে। পাঁচ বারের বেশি পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইনের নিতে হবে।