COVID In India: কলকাতায় ঢুকে পড়েছে BF.7? কোভিডের কারণে স্বাদ-গন্ধ হারালে দ্রুত ফিরে পাবেন কীভাবে?
Loss Of Smell In Covid: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নাকের ভিতরের ঘ্রাণীয় কোষগুলির মাধ্যমেই সংক্রমণ শরীরে মধ্যে প্রবেশ করে। কোভিড ভাইরাস সংক্রমণের জন্য এই স্থানটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
গুজরাত, ওড়িশা পর এবার কলকাতা। কোভিড পজিটিভ বিদেশ ফেরত এক মহিলার হদিশ মিলল এই তিলোত্তমায়। জানা গিয়েছে, তিনি কুয়ালালামপুর থেকে বুদ্ধগয়ায় যাচ্ছিলেন। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে কলকাতার এক হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ওই মহিলা। কলকাতায় কোভিড পজিটিভ ধরা পড়তেই আতঙ্ক ও উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে সব স্তরেই। সকলের মনে ফের প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে, করোনার বাড়বাড়ন্তে কি লকডাউনের ঘোষণা করা হবে?
গত সপ্তাহে মিটিংয়ে লকডাউনের কোনও পূর্বাভাস না থাকলেও সাধারণ মানুষকে করোনার সব বিধিনিষেধগুলি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড আক্রান্ত দেশ ফেরত সমস্ত যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। কলকাতা ছাড়া এদিন বিহারের গয়া বিমানবন্দরে চার যাত্রীর শরীরেও করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের সকলকেই একটি হোটেলে আইসোলেশন করে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারোওরই সংক্রমণ গুরুতর নয়।
জ্বর-সর্দি, কাশি ছাড়াও কোভিড আক্রান্ত হলে গন্ধ বা ঘ্রাণ শক্তি হ্রাস পায়। বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই এই উপসর্গ দেখা গিয়েছিল, যা অ্যানোসমিয়া নামেও পরিচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নাকের ভিতরের ঘ্রাণীয় কোষগুলির মাধ্যমেই সংক্রমণ শরীরে মধ্যে প্রবেশ করে। কোভিড ভাইরাস সংক্রমণের জন্য এই স্থানটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে এই রোগ দ্রুত শরীরের মধ্যে প্রবাহিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে যদি মুখে বা নাকে গন্ধ না পাওয়া যায় তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ে গন্ধের অনুভূতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
লং কোভিডের কারণে অনেকেরই ঘ্রাণ বা গন্ধ পাওয়ার শক্তি লোপ পেয়েছে। এই অ্যানোসমিনিয়ার সমস্যা সাধারণত একটি স্নায়ুজনিত লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। কোভিডের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশির মত উপসর্গগুলি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এই উপসর্গগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার বিভিন্ন পথ বের করার কৌশল এখন মানুষের আয়ত্তের মধ্যে চলে এসেছে। কিন্তু গন্ধ বা স্বাদ ফিরে পাওয়ার ঘরোয়া উপায় এখনও অনেকেরই অজানা। স্নায়ুবিজ্ঞানীদের মতে, আনুনাসিক গহ্বরের ঘ্রাণ কোষগুলিকে SARS-CoV-2 দ্বারা সংক্রমণের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছেন।
বিজ্ঞানীদের কথায়, কোভিড ছাড়াও অ্যানোসমিয়া হওয়ার জন্য রয়েছে আরও কিছু কারণ, সেগুলি হল- মাথায় আঘাত পাওয়া, ক্যানসারের চিকিত্সায় রেডিয়েশন থেরাপির কারণ, শুষ্ক মুখগহ্বর, অতিরিক্ত রাসায়নিক প্রভাব, দাঁতের সমস্যা, সাইনাসের সংক্রমণ, অ্যালঝাইমার, পারকিনসনস. অতিরিক্ত ধূমপান করা, হাইপোথাইরয়েডিজম।
– বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যানোসমিয়ার কারণে ঘ্রাণশক্তি হারানোর পাশাপাশি ক্ষুধাও হ্রাস পায়। কম খাবার খাওয়া শরীরে অপুষ্টি, ডিহাইড্রেশন, অস্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর ঝুঁকির প্রবণতা দেখা যায়। খাবারের স্বাদ পেতে নুন ও চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
কীভাবে গন্ধের অনুভূতি ফিরে পাবেন?
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের জিভের স্বাদ ও নাকে গন্ধের অনুভূতি লোপ পায়। তবে সুস্থ হওয়ার সঙ্গে এই দুই অনুভূতি ফিরেও আসে। কিন্তু এর প্রভাব কখনও কখনও দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে যায়। তাই স্বাদ ও গন্ধ ফিরে পেতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চলতে পারেন। কীভাবে করবেন, তা এই করোনা আতঙ্কের সময় জেনে নিন…
ক্যাস্টর অয়েল: প্রতিটি নাকের ছিদ্রে এক ফোঁটা করে উষ্ণ ক্যাস্টর অয়েল দিন। শুধু গন্ধ ও স্বাদ ফিরে পাবেন তাই নয়, নাকের ভিতর জ্বালাভাবও দূর করে।
লেবু: ২-৩ কোয়া রসুন সেদ্ধ করতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে তা ছেঁকে পান করতে পারেন। তাতে লেবুর রস দিলে উপকার পাবেন ভাল। রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। নার বুজে গেলে বা গন্ধশক্তি লোপ পেলে এই সহজ প্রতিকারটি মেনে চলতে পারেন।
আদা: এক ইঞ্চি আদার খোসা ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে নিতে হবে। গন্ধের অনুভূতি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য এই সহজ প্রতিকারটি মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়।
পুদিনা: জলের মধ্যে পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে তা ঠান্ডা করতে দিন। এবার তাতে মধু মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)