একদিকে আকাশের ভ্রূকুটি অন্যদিকে বৃষ্টি- আবহাওয়া যতই পুজো মাটি করার হাজারো চেষ্টা করুক না কেন ঠাকুর দেখায় কোনও খামতি নেই। বছরে মাত্র এই কটা দিনের জন্যই সারা বছরের অপেক্ষা। নতুন জামা, কেনাকাটা, প্ল্যানিং এক বছর আগে থেকে চলতে থাকে।
সারারাত ঠাকুর দেখার পর সকালে লুচি তরকারি কিংবা কচুরি শিঙাড়াতে ভুল করেও ব্রেকফাস্ট নয়। সে যতই পুজোর দিন হোর না কেন। এতে কিন্তু শরীর খারাপ হতে বাধ্য।
পুজোর এইকয়েকটা দিন খাওয়া-দাওয়া থাকে লাগাম ছাড়া। ফলে গ্যাস, অম্বল হজমের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। যে কারণে সকালে পেটকে বিশ্রাম দিন। সকালেও যদি ভাজাভুজি খান তাহলে শরীর আরও খারাপ করবে। গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হলে শরীরে একটা অস্বস্তি লেগেই থাকে।
পুজোর আগে অধিকাংশই ডায়েট করেন। ডায়েট মানে নিয়ম মেনে খাওয়া। হঠাৎ করে বেনিয়ম হলে সেই অভ্যাসে ছেদ পড়ে। তাতে আরও বেশি সমস্যা হয়। এছাড়াও এই আবহাওয়াতে বাইরের খাবার বেশি খাওয়া মানেই বিপদ বাড়িয়ে তোলা।
পুজোর দিন সকালে আলাদা করে ব্রেকফাস্ট বানানোর মত সময় বা ইচ্ছে কোনওটাই থাকে না। সেক্ষেত্রে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগে থেকেই বানিয়ে রেখে যেতে পারেন এই ব্রেকফাস্ট। বানাতে সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিট। সেই সঙ্গে এই ব্রেকফাস্ট স্বাস্থ্যকরও।
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগে একগ্লাস দুধের মধ্যে এক চামচ ওটস, এক চামচ চিয়া সিডস, কফি গুঁড়ো, মধু, ড্রাই ফ্রুটস, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে রেখে দিন ফ্রিজে ৭-৮ ঘন্টা। সকালে উঠে খেয়ে নিন। এই ব্রেকফাস্ট খেতে যেমন ভাল তেমনই বানাতে কোনও ঝক্কি নেই। শরীরও থাকবে ভাল।