AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় অতিষ্ট জীবন? আয়ুর্বেদ মতে কী করলে মেলে মুক্তি?

Uric Acid Remedies: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে , তখন জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা গাঁটে বাতের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আয়ুর্বেদ মতে, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খাদ্যাভ্যাস ও ভেষজ চিকিৎসা মেনে চললে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কী করবেন?

Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় অতিষ্ট জীবন? আয়ুর্বেদ মতে কী করলে মেলে মুক্তি?
| Updated on: Aug 25, 2025 | 2:13 PM
Share

ইউরিক অ্যাসিড শরীরের এক প্রকার প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ, যা শরীরে পিউরিন নামক যৌগ ভেঙে তৈরি হয়। সাধারণ অবস্থায় কিডনি ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে বাইরে বের করে দেয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে , তখন জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা গাঁটে বাতের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আয়ুর্বেদ মতে, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খাদ্যাভ্যাস ও ভেষজ চিকিৎসা মেনে চললে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কী করবেন?

১. ত্রিফলা সেবন – ত্রিফলা আয়ুর্বেদে বহুল ব্যবহৃত একটি ভেষজ। এতে থাকে হরিতকি, আমলকি ও বিভিতকি, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত রাতে গরম জলের সঙ্গে ত্রিফলা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত জমা কমে যায়।

২. গুগ্গুল ও পুনর্নভা – আয়ুর্বেদে গুগ্গুল প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। এটি জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে পুনর্নভা একটি প্রাকৃতিক ডাই-ইউরেটিক, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ও টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ফলে ইউরিক অ্যাসিডও কমে যায়।

৩. তুলসি ও আদা – তুলসি পাতা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, আর আদা প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি হজমশক্তি উন্নত করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম জলে আদা-তুলসি চা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪. খাদ্যাভ্যাস – আয়ুর্বেদ মতে খাদ্যাভ্যাস ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মূল চাবিকাঠি। বেশি মাংস, সামুদ্রিক মাছ, ডালজাতীয় খাবার বেশি খেলে মদ্যপান বা জাঙ্ক ফুড বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। এগুলি শরীরে পিউরিন বাড়িয়ে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে।

বদলে সবুজ শাকসবজি, ফল (বিশেষত চেরি, আপেল, পেঁপে), গোটা শস্য, এবং পর্যাপ্ত জল। এগুলি শরীরকে ক্ষারীয় (alkaline) করে তোলে ও ইউরিক অ্যাসিড কমায়।

৫. ফ্ল্যাক্সসিড এবং অশ্বগন্ধা – ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে অশ্বগন্ধা শরীরকে শক্তি জোগায় এবং বিপাকক্রিয়া (metabolism) উন্নত করে, ফলে শরীরে অপ্রয়োজনীয় অ্যাসিড জমা হয় না।