‘বারবার পোস্ট হয়েছে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’, টুইটারের বিরুদ্ধে দায়ের চতুর্থ এফআইআর
Twitter: শুধু তথ্য প্রযুক্তি আইন নয়, পসকো আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে টুইটারের বিরুদ্ধে।
নয়া দিল্লি: টুইটারের বিরুদ্ধে সামনে এল আরও এক ঘোরতর অভিযোগ। এ বার অভিযোগ দায়ের করল দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। শিশুদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো বা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি বারবার আপলোড করার অভিযোগ উঠেছে টুইটারের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগে ভারতে চতুর্থ এফআইআর দায়ের হল মাইক্রোব্লগিং সংস্থার বিরুদ্ধে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি আইন ও পসকো আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের দাবি তারা আগেও বারবার এই বিষয়টায় আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন। কোনও সাড়া না পেয়ে তাঁদের তরফ থেকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার ও সাইবার সেলের উদ্দেশে দুটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠি পেয়েই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সাইবার সেলের দুই আধিকারিককে এই ইস্যুতে ডেকেও পাঠিয়েছে কমিশন। তাঁদের দাবি, শিশুদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো বা পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট বারবার পোস্ট করা হয়েছে টুইটারে।
এর আগে গাজিয়াবাদে মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহের ঘটনায় পরপর দুটি এফআইআর দায়ের হয় টুইটারের বিরুদ্ধে, একট উত্তরপ্রদেশে ও একটি মধ্যপ্রদেশে। আর সম্প্রতি ভারতের মানচিত্র বিকৃত করার অভিযোগে দায়ের হয়েছে আরও একটি এফআইআর। টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত শুরু হয় কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগকে কেন্দ্র করে। কেন্দ্রের নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী, ভারতে টুইটারের রেসিডেন্স, গ্রিভেন্স ও কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের হাতে এসে পৌঁছয়নি তাঁদের তথ্য। এরপরই টুইটারের কাছে থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেয় কেন্দ্র। তারপর থেকে একের পর এক এফআইআর।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমানে যে গলদ রয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়’, ফেসবুক-গুগলকে কড়া বার্তা প্যানেলের
গাজিয়াবাদ মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহ কাণ্ডে কর্ণাটক হাইকোর্ট আইনি সুরক্ষা দিয়েছিল টুইটারের ভারতীয় প্রধানকে। রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। শীর্ষ আদালতে পৌঁছেছেন টুইটারের ভারতীয় প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীও। তিনি ক্যাভিয়েট দাখিল করে শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ করেছেন, কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে যেন আদালত তাঁর বক্তব্য শোনে।