‘বর্তমানে যে গলদ রয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়’, ফেসবুক-গুগলকে কড়া বার্তা প্যানেলের
Facebook and Google: ভারতীয় তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে, মূলত সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে দুই সংস্থার আধিকারিকদের।
নয়া দিল্লি: টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত জারি। এরই মধ্যে ফেসবুক ও গুগলকে কড়া বার্তা দিল সংসদীয় কমিটি। আজ, মঙ্গলবার দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের তলব করেছিল সাংসদ শশী থারুর নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি। আর সেখানে দুই সংস্থাকেই ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি নীতি মেনে চলার কড়া বার্তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। সূত্রের খবর, প্যানেলের তরফ থেকে গুগল ও ফেসবুককে তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে ডেটা সুরক্ষার ক্ষেত্রে যে সব গলদ রয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
মঙ্গলবার সংসদীয় প্যানেলের সামনে হাজির হতে হয় গুগল ও ফেসবুকের প্রতিনিধিদের। দুই সংস্থা থেকে দু’জনক করে হাজির হয়েছিলেন এ দিন। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউটিউব ও অন্য কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদেরও তলব করা হবে। এর আগে ওই প্যানেলের সামনে হাজির হতে হয়েছিল টুইটারের প্রতিনিধিদের। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগে এই সব সংস্থার আধিকারিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
এ দিনের বৈঠকে ফেসবুকের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর শিবনাথ ঠাকুরাল ও জেনারেল কাউন্সেল নম্রতা সিং। অন্য দিকে, গুগলের তরফ থেকে হাজির হয়েছিলেন আমন জৈন ও গীতাঞ্জলি দুগ্গল। প্রথমে তাঁরা ভার্চুয়ালি হাজির হওয়ার আর্জি জানালেও, তা খারিজ হয়ে যায়। প্রতিনিধিদের সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দেশে আসছে চতুর্থ ভ্যাকসিন, তবে সবার জন্য নয়
ইতিমধ্যেই টু্ইটারের সঙ্গে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। টুইটারের ওয়েবসাইটে ভারতের বিকৃত ম্যাপ থাকায় ভারতের টুইটার প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। বজরং দলের নেতার এফআইআরের ভিত্তিতে টুইটারের ভারতীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ৫০৫(২) ও আইটি আইন,২০০৮-এর ৭৪ নং ধারায় মামলা দায়ের করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। অন্যদিকে, গাজিয়াবাদ মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহ কাণ্ডে কর্ণাটক হাইকোর্ট আইনি সুরক্ষা দিয়েছিল মনিষ মাহেশ্বরীকে। রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এ বার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ উত্তর প্রদেশ পুলিশ।