Uttar Pradesh: পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ! ড্রেন থেকে মিলল দেহ, গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল গুলি
Uttar Pradesh: এরপর শুরু হয় প্রমাণলোপাট। যাতে কাক পক্ষীতেও টের না পায়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই বস্তায় নিষ্প্রাণ দেহটিকে ঢুকিয়ে সোজা গিয়ে ফেলে আসে দূরের একটি নিকাশিতে।
লখনউ: যোগী রাজ্যে ফের নৃশংসতার ছবি। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের। পৈশাচিক হিংসার শিকার এক শিশুকন্যা। বয়স মাত্র বছর পাঁচেক। বাড়ির বাইরে খেলছিল সে। আন্দাজ করতে পারেনি যে দিনেদুপুরেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
বাড়ির সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তবে এখানেই থেমে থাকেনি সে। শিশুটি যদি সকলের সামনে মুখ খুলে ফেলে? তাহলে তো সব শেষ হয়ে যাবে। তাই ধর্ষণের পরও ক্ষান্ত হয়নি সে। চলে অকথ্য অত্যাচার। একেবারে মৃত্যুর দিকে শিশুটিকে ঠেলে দেয় অভিযুক্ত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রাণ যায় খুদেটির।
এরপর শুরু হয় প্রমাণলোপাট। যাতে কাক পক্ষীতেও টের না পায়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই বস্তায় নিষ্প্রাণ দেহটিকে ঢুকিয়ে সোজা গিয়ে ফেলে আসে দূরের একটি নিকাশিতে।
মেয়ে যে নিখোঁজ হয়েছে, তা টের পেতে পেতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। ততক্ষণে মুখে পৈশাচিক হাসি নিয়ে নিজের ঘরে ফিরে যায় অভিযুক্ত। এদিকে, এলাকার অলিতে গলিতে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে দ্বারস্থ হয় নিহতের পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ।
স্থানীয় এলাকার ৭৫টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষানিরীক্ষা করে মেলে হদিশ। ক্যামেরায় ফুটে ওঠে কীভাবে বাড়ির সামনে থেকে ছোট্ট মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। তারপর ঘটিয়ে ছিল নারকীয় কার্যকলাপ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যখন হন্যে হয়ে ছোট্ট মেয়েটির খোঁজে বেরিয়ে ছিল তার পরিবার। তখন তাদের সঙ্গে মেয়েটিকে খুঁজতে যোগ দিয়েছিল খোদ অভিযুক্তই। তার নাম নুর আলম ওরফে রাজু। বিহার থেকে গাজিয়াবাদে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে এসেছিল সে। ওই এলাকাতেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত রাজু।
এদিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে এলে আরও হিংসাত্মক হয়ে ওঠে সে। পুলিশের দিকে পাল্টা গুলি ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করে রাজু। কিন্তু চেষ্টা করলেও সফল হয়নি সে। রাজু গুলি চালালে, পাল্টা চুপ করে বসে থাকে না পুলিশ। তাদের প্রত্যাঘাতে জখম হয়ে যায় অভিযুক্ত। পায়ে গুলি লাগে পুলিশের। তারপর গ্রেফতার হয় সে।