‘সিটটা যেন 11A হয়…’, ফ্লাইট বুকিংয়ে সবার একটাই দাবি, সত্যিই কি সবথেকে ‘সেফ’ এই সিট?
Safest Seat in Aircraft: বিশ্বাস কুমার রমেশ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পরই জানা যায়, তিনি ইমার্জেন্সি এক্সিটের সামনের সিটে বসেছিলেন। এই সিটে বসার জন্যই কি রক্ষা পেলেন?

নয়া দিল্লি: বিমানে উঠতে গেলেই ভয় লাগছে সবার। মনে আতঙ্ক, বিমানটা ভেঙে পড়বে নাতো? বেঁচে ফিরতে পারব তো? এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ ফ্লাইট ভেঙে পড়ার পর যে কেউই বিমানে উঠতে ভয় পাচ্ছেন। আর যারা বিমানে যাচ্ছেন, তারাও টিকিট বুক করার সময় একটাই সিট খুঁজছেন, ১১এ। সবার ধারণা একটাই, এটাই সবথেকে সেফ সিট।
আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় সকলেই পুড়ে মারা গিয়েছেন, শুধু একজন যাত্রী বাদে। বিশ্বাস কুমার রমেশ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিকই কপালজোরে রক্ষা পেয়েছেন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে। তিনি বসেছিলেন ১১এ সিটে।
দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিশ্বাস কুমার রমেশ বলেন, “আমি জানি না কীভাবে বেঁচে ফিরলাম। কিছুক্ষণ ভেবেছিলাম, আমি হয়তো মরেই যাব। যখন আমি চোখ খুলি, দেখি বেঁচে রয়েছি। আমি সিট বেল্ট খুলে বেরিয়ে আসি। এয়ার হস্টেস ও বাকি সকলে আমার চোখের সামনেই মারা গেলেন।”
বিশ্বাস কুমার রমেশ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পরই জানা যায়, তিনি ইমার্জেন্সি এক্সিটের সামনের সিটে বসেছিলেন। এই সিটে বসার জন্যই কি রক্ষা পেলেন? এভিয়েশন এক্সপার্ট অঙ্গদ সিং বলেন, “বিমানে কিছু সুরক্ষিত সিট থাকে। যদি বিগত বিমান দুর্ঘটনাগুলির তথ্য দেখা যায়, তবে দেখা যাবে বিমানের একদম শুরুর দিকে বা শেষেক দিকের সিটগুলি মাঝামাঝি সিটের তুলনায় সুরক্ষিত।”
তবে আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি। ১১এ সিট বিমানের মাঝে অবস্থিত, ডানার একদম সামনে। ইকোনমি ক্লাসের প্রথম শ্রেণির সিট, তার বামদিকেই ইমার্জেন্সি এক্সিট। যখন বিমানটি ভেঙে পড়ে, তখন সামনের, বামদিকের অংশ ভেঙে যায়। বিস্ফোরণে আগুন ধরে আগে বিমানের উপর অংশে।
যেভাবে বিমান ভেঙে পড়ে এবং ভয়াবহ আগুন লেগে যায়, তাতে সামনের নির্মীয়মাণ বিল্ডিংটিও সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছে। সেখানে কীভাবে বিশ্বাস কুমার রমেশ রক্ষা পেলেন, তা মিরাকেল ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনটাই মত বিমান বিশেষজ্ঞদের।





