গল্প এগোচ্ছে বলিউড থ্রিলারের মতো, নিজের হাইজিং-এর সিসিটিভি কেন সরালেন অফিসার?

মুকেশ অম্বানীর (Mukesh Ambani) বাড়ির সামনে জিলেটিন স্টিক (Gelatin Stick) ও ডিটোনেটর (Detonator)-সহ স্করপিও গাড়ি উদ্ধার হয়। তদন্ত এগোতেই এনআইএ (NIA) গ্রেফতার করে খোদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের (Crime Branch) অফিসারকে।

গল্প এগোচ্ছে বলিউড থ্রিলারের মতো, নিজের হাইজিং-এর সিসিটিভি কেন সরালেন অফিসার?
এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হন সচিন ভাজে়
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2021 | 1:11 PM

মুম্বই: বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে বোমাতঙ্ক (Bomb Scare)। দিন কয়েক আগের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বটে। তবে তার পিছনে যে এত গভীর পরিকল্পনা রয়েছে, তার আঁচ পাওয়া যায়নি। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বলিউড থ্রিলারের চেহারা নিচ্ছে সেই ঘটনা। গাড়ির মধ্যে জিলেটিন স্টিক (Gelatin Stick) ও হুমকি চিঠি রাখার ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিককে। এবার জানা গেল, নিজের বাড়ির সিসিটিভিই (CCTV) সরিয়ে নিয়েছেন ওই অফিসার।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে একটি স্করপিও গাড়ি উদ্ধার করা হয়। গাড়ির ভিতর থেকে পাওয়া যায় জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর। এর কিছুদিন পরই সেই গাড়ির মালিক মনসুখ হিরেনের মৃতদেহ মুম্বইয়ের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের বয়ানে জানা যায়, তদন্তকারী অফিসার সচিন ভাজে় নভেম্বর মাস থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অবধি ওই গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন। এরপর এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হন সচিন ভাজে়। তদন্ত এগোতে গিয়ে সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে। জানা গিয়েছে এই অফিসার নিজে যখন তদন্ত করছিলেন তখন তিনি নিজের হাউজিং সোসাইটির সিসিটিভি ও ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ডার (DVR) বাজেয়াপ্ত করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ওই সিসিটিভি-র ফুটেজ থেকে প্রমাণ লোপাটের কোনও চেষ্টা হয়েছে? যা থেকে বিস্ফোরক মিলেছে, সেই গাড়ি কি নিজের হাউজিং সোসাইটিতে এনেছিলেন অফিসার?

শনিবার সচিন ভাজে় নামে ওই অফিসারকে গ্রেফতার করে এনআইএ। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে বোমাতঙ্কের ঘটনার তদন্ত করছিলেন তিনি। সোমবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত করতে এই এলাকায় গিয়ে এনআইএ আধিকারিকরা দেখেন যে সচিনের হাউজিং সোসাইটিতে নেই সিসিটিভি। জানা যায় আগেই তা সরিয়ে ফেলেছেন অফিসার নিজেই। তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান নিজের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না রাখতেই এমনটা করেছেন তিনি।

তদন্তের মাঝেই সচিনের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। শনিবার সকালেই সচিন তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে লেখেন, “৩ মার্চ, ২০০৪। সিআইডির কয়েকজন অফিসার আমায় একটি ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করে। সেই মামলার আজ অবধি নিষ্পত্তি হয়নি। আমার মনে হচ্ছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। সহকর্মীরাই আমায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে এইবারে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। তখন আমার হাতে ১৭ বছর কর্মজীবন, অনেক আশা, ধৈর্য্য ছিল। এখন আমার সেই ধৈর্য্যও নেই, আর কর্মজীবনের মেয়াদও নেই। আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীকে বিদায় জানানোর সময় এসে গিয়েছে।”