Bengaluru News: রাতে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন দম্পতি, সামনে এল পুলিশ ভ্যান, তারপর…

Bengaluru News: রাতে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন দম্পতি। সেই সময় দুই কনস্টেবল এসে তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চান এবং নেওয়া হয় টাকাও।

Bengaluru News: রাতে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন দম্পতি, সামনে এল পুলিশ ভ্যান, তারপর...
গ্রাফিক্স সৌজন্যে: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2022 | 6:26 PM

বেঙ্গালুরু: রাত ১২:৩০ টায় হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন এক দম্পতি। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের এই রোম্যান্টিক ছোট্ট সফরে বাধ সাধল পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাতে রাস্তায় হাঁটতে দেখে তাঁদের হেনস্থা করা হয়। এমনকি তাঁদের কাছে ১ হাজার টাকাও চাওয়া হয় পুলিশের তরফে। পেমেন্ট অ্যাপ পেটিএম (PayTm)-র মাধ্যমে সেই টাকা দিতে বলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের অপরাধ কী জানতে চাওয়া হলে পুলিশ জানায় মধ্যরাতে রাস্তায় হাঁটার অনুমতি নেই। তাঁরা নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। এদিকে পুলিশের কাছে এই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়তেই তদন্ত শুরু হয়। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে, সামিপিগেহাল্লি পুলিশ স্টেশনের একজন কনস্টেবল ও একজন হেড কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এই গোটা ঘটনা সামনে আসে একটি টুইট থেকে। বেঙ্গালুরুতে রাতের রাস্তায় এহেন হেনস্থার শিকার হওয়ার পর টুইটে বেঙ্গালুরু সিটির পুলিশ কমিশনারের কাছে সাহায্য় চেয়ে একটি টুইটার পোস্ট কেন কার্তিক পাত্রি। তিনি প্রায় ১৫ টি টুইটে গোটা ঘটনার বর্ণনা দেন। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘গত রাতে আমি ও আমার স্ত্রী এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। তখন রাত ১২:৩০। এক বন্ধুর জন্মদিন উদযাপনের পর আমরা হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম।’ তাঁরা মান্যতা টেক পার্কের বিপরীতে একটি সোসাইটিতে থাকেন বলে জানান। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সোসাইটির প্রবেশ পথ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে ছিলেন। সেই সময় একটি পুলিশের ভ্যান তাঁদের কাছে এসে থামে। পুলিশের পোশাকধারী দুই ব্যক্তি তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তা তাঁরা দেখিয়ে দেন। তবে পুলিশকে আধার কার্ড দেখানোর পরও তাঁরা থামেননি। দু’জন পুলিশ তাঁদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে নেয় এবং তাঁদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন খুঁটিনাটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন।

কার্তিক তাঁর টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘কিছুটা হতভম্ব হলেও নম্রভাবে আমরা তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলাম। এর মধ্য়ে এক পুলিশ চালান বইয়ের মতো দেখতে কিছু একটা বের করেন। এবং আমাদের নাম, আধার নম্বর লিখতে শুরু করেন। বিষয়টি ভাল না ঠেকায় আমরা জিজ্ঞাসা করি কেন এইসব করা হচ্ছে।’ তারপর এক পুলিশ কনস্টেবল জানিয়েছিলেন, রাত ১১ টার পর বাইরে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অনুমতি নেই। তবে এরকম নিয়মের কথা আগে শোনেননি কার্তিক। কিন্তু গভীর রাত হওয়ায় কোনও কথা না বাড়িয়ে পুলিশের কাছে নিয়ম ভঙ্গের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু শেষে পুলিশ তাঁদের যেতে দিতে চায় না। তাঁরা কার্তিকদের কাছে ৩ হাজার টাকা চায় বলে তিনি জানিয়েছেন। এই স্বামী-স্ত্রী অনেক কাকতি মিনতি করলেও তাঁদের ছাড়তে রাজি হয় না পুলিশ। অনেকক্ষণ দর কষাকষির পর শেষ পর্যন্ত ৩ হাজার টাকায় চুক্তি সম্পন্ন হয়।

টুইটার পোস্ট থেকে তারপর গোটা ঘটনা পুলিশের গোচরে আসে। সেই মতো তারা তদন্ত শুরু করে। এবং অন্য কোনও নাগরিক এই ধরনের কোনও ঘটনার শিকার হয়ে থাকলে তাঁদের পুলিশে জানানোর কথা বলা হয়। বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ উত্তর-পূর্ব ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার অনুপ এ শেট্টি এই ঘটনার কথা পুলিশের গোচরে আনার জন্য কার্তিককে ধন্যবাদ জানান। এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘তাঁদেরকে শনাক্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’