Madhya Pradesh: ছেলের দুই হাত কেটে শ্বাসরোধ করে হত্যা, বাড়ি ফিরে খুঁজতেও বেরিয়েছিল বাবা
Madhya Pradesh man kills son: নিজেরই কিশোর ছেলের দুই হাত কেটে, তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। মধ্য প্রদেশের দেবাস জেলার বাঙ্গারদা গ্রামের ঘটনা।
ভোপাল: নিজেরই কিশোর ছেলের দুই হাত কেটে, তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। গত ৬ ডিসেম্বর মধ্য প্রদেশের দেবাস জেলার বাঙ্গারদা গ্রাম থেকে, ওই ১৫ বছর বয়সী কিশোরের হাত কাটা দেহ উদ্ধার করেছিল বরোথা থানার পুলিশ। ঘটনার তিনদিন পর, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরকে হত্যা করেছে তার বাবা মোহনলাল। আর এর পিছনে লুকিয়ে আছে মোহনলালের এক বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের কাহিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মোহনলালের সঙ্গে তার খুড়তুতো ভাইয়ের স্ত্রী আশার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মোহনলালের ছেলে হরিওম এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গিয়েছিল। গত ২ ডিসেম্বর রাতে হরিওম, তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল। এরপরই আশা, মোহনলালকে চাপ দিয়েছিল তার ছেলেকে হত্যা করার জন্য। সে ভয় পেয়েছিল, তার সঙ্গে মোহনলালের সম্পর্কের কথা হরিওম সকলকে জানিয়ে দেবে।
প্রেমিকার চাপে মোহনলালও সন্তানকে হত্যা করতে রাজি হয়েছিল। ওইদিনই ভোর ৩টে নাগাদ হরিওমকে নিয়ে তাদের চাষের জমিতে গিয়েছিল মোহনলাল। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল আশা। হরিওমকে চাষের জমিতে আনার পর, প্রথমেই তার দুই হাত কেটে ফেলেছিল তার বাবা। মোহনলাল জানিয়েছে, যাতে সে প্রতিরোধ করতে না পারে, তার জন্যই শুরুতেই সে তার ছেলের হাত কেটে দিয়েছিল। পরে একটি দড়ি দিয়ে হরিওমের গলায় ফাঁস দেয় মোহনলাল। দড়ির ফাঁস বসে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৫ বছরের কিশোরটির। পরে মোহনলাল ও আশা কাটা হাতগুলি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে একটি বোরওয়েলে ফেলে দিয়েছিল।
ছেলেকে হত্যার পর, বিনা দ্বিধায় বাড়ি ফিরে এসেছিল মোহনলাল। পরিবারের অন্যান্যদের তার ছেলে কোথায়, প্রশ্ন করেছিল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হরিওমকে খুঁজতেও বেরিয়েছিল সে। এমনকি, তাকে খুঁজতে ইন্দোর শহরেও পাড়ি দিয়েছিল। কিন্তু, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বেশ কয়েকবার তার বয়ান পরিবর্তন করেছিল মোহনলাল। ফলে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল তার উপরই। এরপরই, পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে মোহনলাল।
দেবাসের এসপি শিব দয়াল সিং জানিয়েছেন, মোহনললের দাবি, প্রেমিকার পীড়াপীড়িতেই ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তিনি। আপাতত, মোহনলাল এবং তার প্রেমিকা আশা – দুজনকেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের দুজনকেই জেরা কর হচ্ছে।