Noida Dowry Case: প্রথমে সুজুকি, তারপর স্করপিও! নিকির পরিবারও পণের জন্য অত্যাচার করেছেন পুত্রবধূর উপরে?
Noida Dowry Case Twist: যেখানে নিকির পরিবার কন্যাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ, সেখানেই এবার নিকি ভাটির পরিবারের বিরুদ্ধেও পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। । নিকি ভাটির বৌদি মীনাক্ষী অভিযোগ তুললেন যে তাঁকেও পণের জন্য অত্যাচার করা হত।

নয়ডা: নয়ডায় পণের জন্য পুত্রবধূকে পুড়িয়ে মারার কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার নিহত যুবতীর পরিবারের বিরুদ্ধেই উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। নিকি ভাটির মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামী বিপিন, শাশুড়ি ও দেওরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিকির বাবা দাবি করেছেন এনকাউন্টারের। এই ঘটনার মাঝেই এবার তাদের বিরুদ্ধেই উঠল ভয়ঙ্কর অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধেও উঠল পণের জন্য পুত্রবধূকে অত্যাচারের অভিযোগ।
নিকি ভাটির মৃত্যুতে গোটা দেশে সাড়া পড়ে গিয়েছে। পণের দাবিতে ২৮ বছরের যুবতীকে মারধর ও পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। যেখানে নিকির পরিবার কন্যাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ, সেখানেই এবার নিকি ভাটির পরিবারের বিরুদ্ধেও পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। নিকি ভাটির বৌদি মীনাক্ষী, যার সঙ্গে তাঁর ভাই রোহিত পাভলার বিবাদ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তিনি অভিযোগ তুললেন যে তাঁকেও পণের জন্য অত্যাচার করা হত।
জানা গিয়েছে, রোহিত ও মীনাক্ষীর বিয়ে ২০১৬ সালে হয়েছিল। মীনাক্ষীর দাবি, বিয়ের সময় তাঁর পরিবারের কাছ থেকে মারুতি সুজুকি সিয়াজ নিয়েছিল পণ বাবদ। পরে তা বিক্রি করে দেন এই বলে যে গাড়িতে জায়গা কম। তারপর তারা স্করপিও গাড়ি ও নগদ টাকা চান। সেই দাবি পূরণ না করায় মীনাক্ষীকে তাঁর বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রাম পঞ্চায়েতে এই বিষয়টি নিয়ে যেতে সালিশি করে বলা হয়, নিকি ভাটির পরিবার যেন ৩৫ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেয়, যা বিয়ের জন্য মীনাক্ষীর পরিবারের খরচ হয়েছিল, যাতে তার দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া যায় কিংবা মীনাক্ষীকে নিজেদের পুত্রবধূ হিসাবে স্বীকার করে নেয়। মীনাক্ষীর দাবি, পঞ্চায়েতের নির্দেশের পরও তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।
মীনাক্ষীর দাবি, বিখারি সিং পাভলা (নিকির বাবা) সতবীর সিংয়ের বন্ধু ছিলেন। সেই সম্পর্কেই নিজের দুই মেয়েকে বিয়ে দেন। সতবীরও একাধিকবার বলেছিলেন যে এই ঝামেলা মিটিয়ে দেবেন, কিন্তু তা হয়নি।

