সরকার বদলাতেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, আজ থেকেই ভক্তরা দর্শন করবেন এভাবে

Puri Jagannath Temple: বুধবারই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মোহন চরণ মাঝি। আর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করলেন।

সরকার বদলাতেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, আজ থেকেই ভক্তরা দর্শন করবেন এভাবে
পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2024 | 6:13 AM

ভুবনেশ্বর: বিজেডির রাজত্ব শেষ। ২৪ বছর পর নবীন পট্টনায়কের বদলে অন্য কেউ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। ওড়িশায় এবার তৈরি হয়েছে বিজেপি(BJP)-র সরকার। বুধবারই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মোহন চরণ মাঝি (Mohan Charan Manjhi)। আর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করলেন।

বুধবারের প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি পুরীর মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার প্রস্তাবনায় সম্মতি জানান। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরের অবিলম্বে প্রয়োজন মেটানোর জন্য একটি বিশেষ তহবিল তৈরি করারও কথা জানান। ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হবে।

বৈঠক শেষে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার আগামিকাল থেকে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজাই পুনরায় ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকল মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মন্দিরের চারটি দরজা খোলা হবে। এবার থেকে ভক্তরা মন্দিরের চারটি দরজা দিয়েই প্রবেশ করতে পারবেন।”

প্রসঙ্গত, ওড়িশায় বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারের অন্যতম ছিল পুরীর মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া। করোনাকালের সময় বিজেডি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে মন্দিরের একটি মাত্র দরজা খোলা থাকবে। করোনা সংক্রমণ শেষ হওয়ার পরও একই সিদ্ধান্ত জারি রাখা হয়। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার বাদে বাকি দরজাগুলি বন্ধ ছিল এতদিন।

নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মন্দিরের অধিকাংশ গেটই বন্ধ রাখায়, পুণ্যার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মন্দির চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন সকল মন্ত্রীরা।

পাশাপাশি মন্দিরের সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য ক্য়াবিনেটের তরফে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।