Jack Dorsey: নির্বাচন আসছে বলে ঘুম ভাঙল ডরসির, টুইটার-কে চাপ দেওয়ার দাবি মিথ্যে: অনুরাগ
Anurag Thakur dismisses Jack Dorsey's claim: নির্বাচন আসছে। আর সেই কারণেই ভারতকে বদনাম করতে এবং দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করতে মিথ্যা কথা বলছেন টুইটার সংস্থার প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

নয়া দিল্লি: নির্বাচন আসছে। আর সেই কারণেই ভারতকে বদনাম করতে এবং দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করতে মিথ্যা কথা বলছেন টুইটার সংস্থার প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি দাবি করেছেন, ভারতে কৃষক বিক্ষোভ চলাকালীন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল টুইটার সংস্থাকে। এমনকি, ভারত তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তাঁর এই মন্তব্য ভারত জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, জ্যাক ডরসিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি জানিয়েছে, নিজের অপকর্ম ঢাকতেই দীর্ঘ কয়েক বছরের ঘুমের পরে আচমকা জেগে উঠেছেন টুইটারের প্রাক্তন সিইও। ইলন মাস্কের ‘টুইটার ফাইলস’-এই কীভাবে টুইটারকে অপব্যবহার করা হত, তা ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, “যা বলা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। দীর্ঘ কয়েক বছরের ঘুমের পর জেগে উঠেছেন জ্যাক ডরসি এবং তিনি এখন তাঁর অপকর্ম ঢাকতে চান। যখন অন্য এক ব্যক্তি টুইটার কিনে নেন, তখন ‘টুইটার ফাইলস’-এ প্রকাশ করা হয়েছিল যে কীভাবে প্ল্যাটফর্মটির অপব্যবহার করা হচ্ছিল। তাঁর জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাওয়ায়, জ্যাক ডরসি আজ পর্যন্ত এর উত্তর দিতে পারেননি। আসলে, ভারতে নির্বাচন এগিয়ে এলেই বেশ কিছু বিদেশী শক্তি মাথা চাড়া দেয়।” পরে হিন্দিতে টুইট করে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে স্বচ্ছ গণতন্ত্র। ভারতে নির্বাচন এগিয়ে এলেই কিছু বিদেশী শক্তি এবং তাদের এজেন্টরা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল ও বদনাম করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। জ্যাক ডরসি ডাহা মিথ্যা বলছেন। টুইটার টেকওভারের সময় টুইটার ফাইলসে তাঁর পক্ষপাত, কারসাজি এবং বিদ্বেষের বিষয়টি ফাঁস হয়েছিল। কেন তিনি আজ পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি?”
भारत दुनिया का सबसे बड़ा और पारदर्शी लोकतंत्र है। भारत में जब भी चुनाव नज़दीक होते हैं तो कुछ विदेशी ताक़तें और यहाँ उनके एजेंट एक योजनाबद्ध तरीक़े से देश को अस्थिर व बदनाम करने के लिए सक्रिय होते हैं।
जैक डोर्सी सफ़ेद झूठ बोल रहे हैं।
ट्विटर के टेकओवर पर ट्विटर फ़ाइल्स को… pic.twitter.com/LDsorlcFnC
— Anurag Thakur (@ianuragthakur) June 13, 2023
সম্প্রতি এক একটি ইউটিউব নিউজ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যাক ডরসি দাবি করেন, ভারতে কৃষকরা যখন মোী সরকারের আনা নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, সেই সময় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সমালোচনাকারী সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করার জন্য অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “উদাহরণস্বরূপ, ভারত হল সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম কৃষকদের বিক্ষোভের সময় অনেক টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে সরকারের সমালোচনাকারী সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কে এমন অনুরোধ এসেছিল। বলা হয়েছিল, আমরা ভারতে টুইটার বন্ধ করে দেব। আমরা আপনার কর্মচারীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাব।”
জ্যাক ডরসির এই মন্তব্যটি বেশ কয়েকটি বিরোধী দল শেয়ার করেছে এবং এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে। তবে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরও টুইটারের প্রাক্তন সিইও-র মন্তব্যটিকে “কাল্পনিক” এবং “সম্পূর্ণ মিথ্যা” বলেছেন। এই বিষয়ে টুইটারে এক দীর্ঘ পোস্টে, রাজীব চন্দশেখর বলেছেন, জ্যাক ডরসির অধীনে টুইটার সংস্থা ক্রমাগত ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় আইনের সার্বভৌমত্ব মানতে তাদের সমস্যা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের জুনে তারা ভারতীয় আইন মানতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু, তার জন্য টুইটারের কাউকে জেলে পাঠানো হয়নি বা ভারতে টুইটার বন্ধও করে দেওয়া হয়নি বলে, জানিয়েছেন আইটি মন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কৃষক বিক্ষোভের সময় টুইটারে প্রচুর ভুল তথ্য এবং এমনকি গণহত্যার ভুয়ো রিপোর্টও ছিল। ওই ভুয়ো খবরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারত বলে, ওই ভুল তথ্য টুইটার থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিল সরকার। জ্যাক ডরসির আওতায় টুইটার পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন রাজীব চন্দ্রশেখর।





