NEET-UG-র প্রশ্নপত্র করেছিল চুরি, CBI-এর জালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার

NEET-UG: ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির ট্রাঙ্ক থেকে নিট-ইউজি (NEET-UG)-র প্রশ্নপত্র চুরি করেছিল পঙ্কজ কুমার ওরফে আদিত্য নামে এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই), সেই ইঞ্জিনিয়ার এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই সঙ্গীর মাধ্যমেই চুরি করা প্রশ্নপত্র বিতরন করেছিল সে।

NEET-UG-র প্রশ্নপত্র করেছিল চুরি, CBI-এর জালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
প্রতীকী ছবি Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jul 16, 2024 | 5:50 PM

পটনা: বিহারের হাজারীবাগে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির ট্রাঙ্ক থেকে নিট-ইউজি (NEET-UG)-র প্রশ্নপত্র চুরি করেছিল পঙ্কজ কুমার ওরফে আদিত্য নামে এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তারপর রাজু সিং নামে এক সহযোগীর মাধ্যমে নিট-ইউজির পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করেছিল সেই প্রশ্নপত্র। মঙ্গলবার এই দুই অপরাধীকেই গ্রেফতার করল সিবিআই। পটনা থেকে পঙ্কজ কুমারকে এবং জামশেদপুর থেকে রাজু সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই-এর এক সূত্র। ওই সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে জামশেদপুরের এনআইটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিল পঙ্কজ।

আগেই সিবিআই জানিয়েছিল, এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল স্থান ছিল বিহারের হাজারিবাগ। ওয়েসিস স্কুল নামে এখানকার এক বেসরকারী স্কুল থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। ওই স্কুল ছিল নিট-ইউজি পরীক্ষার এক কেন্দ্র। সিবিআই-এর তদন্তে দেখা গিয়েছে, সেখানে পাঠানো প্রশ্নপত্রগুলির দুটি সেটের সিল ভাঙা হয়েছিল। এই বিষয়টি দেখেও, তা ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল ওই স্কুলের কর্মীরা। সিবিআই-এর এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “হাজারীবাগের এসবিআই থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে নয় সেট করে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছিল। যেগুলি ওয়েসিস স্কুলে এসেছিল সেগুলির সিল ভাঙা হয়েছিল। সেখানকার কর্মীরা বিষয়টি কাউকে জানায়নি।”

হাজারিবাগের এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করেছিল বিহার পুলিশের অর্থনৈতিক অপাধ দমন শাখা। সিবিআই জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে, তারা পটনার ‘লার্ন এবং প্লে স্কুলে’ অনুসন্ধান চালিয়েছিল। সেখানে কিছু পোড়া প্রশ্নপত্র পাওয়া গিয়েছিল। ২১ জুন এনটিএ জানিয়েছিল, ওয়েসিস স্কুল থেকে সিল ভাঙা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে, ওই আধপোড়া প্রশ্নপত্রের কোড মিলে গিয়েছে। ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ, ড. এহসানুল হক আবার হাজারীবাগে নিট-ইউজি পরীক্ষার জেলা সমন্বয়কারীর পদেও ছিলেন। স্কুলের উপাধ্যক্ষ, ইমতিয়াজ আলম ছিলেন কেন্দ্র সমন্বয়কারী। তা সত্ত্বেও, সিল ভাঙা প্রশ্নের বিষয়ে তাঁরা কাউকে কিছু জানাননি। সিবিআই এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রায় ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে।