Minor Abuse: ধর্ষণের পরও লাগাতার হুমকি, গলায় দড়ি দিলেন দলিত নাবালিকা
মৃত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গাফিলতি করেছে পুলিশ। ধর্ষণে অভিযুক্ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এই পরিস্থিতিতেই নির্যাতিতা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লখনউ: ১৬ বছরের এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর বাড়ি থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকির হরিদেরগড় এলাকায়। মৃত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গাফিলতি করেছে পুলিশ। ধর্ষণে অভিযুক্ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এই পরিস্থিতিতেই নির্যাতিতা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার পুলিশ সুপার।
সেখানকার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সিং বলেছেন, “হরিদেরগড় থানায় গত ১৭ জুন একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল। নির্যাতিতার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ। তার দেহ উদ্ধার করে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পিস্তল উদ্ধারের জন্য বেহতা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্তকে। সে সময় পিস্তল নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ফের গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারও হয়। এতে অভিযুক্তের পায়ে গুলি লেগেছে। একন সে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ দায়েরের বেশ কয়েক দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মামলা তোলার জন্য ক্রমাগত হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার বলেছেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবারের লোকেরা। এ নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তকারী অফিসার যোগন্দ্র প্রতাপ সিংকে কর্তব্য গাফিলতির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।”