Arvind Kejriwal: ‘শুধুমাত্র বিজেপির সমস্যা, আর কারও নেই’, লক্ষ্মী-গণেশ নিয়ে নিজের দাবিতে অনড় কেজরীবাল
Aam Admi Party: রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দিল্লি, পঞ্জাব জয়ের পর আগামী গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এখন কেজরীবালের পাখির চোখ।
নয়া দিল্লি: সম্প্রতি ব্যাঙ্ক নোটে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) পাশাপাশি লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি ছাপানোর দাবি জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। কেজরীবালের দাবি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর নিজের দাবিতে অনড় থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরীবাল যে এখনও নিজের দাবিতে অনড়, শনিবার এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে আরও একবার বিষয়টি স্পষ্ট হল।
বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। নোটে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি ছাপা প্রসঙ্গে ওই অনুষ্ঠান থেকে কেজরীবাল বলেন, “আমি যখন নোটে গণেশের ছবি ছাপানোর কথা বলেছিলাম, শুধুমাত্র বিজেপির তাতে সমস্যা হয়েছিল, অন্য কারও কোনও সমস্যা হয়নি। এমনকী মুসলিম সমাজের কোনও প্রতিনিধিরও এতে কোনও সমস্যা হয়নি, খ্রিস্টাদেরও কোনও সমস্যা হয়নি। শুধুমাত্র বিজেপির সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু কেন?”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দিল্লি, পঞ্জাব জয়ের পর আগামী গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এখন কেজরীবালের পাখির চোখ। এমনকী কংগ্রেসকে সরিয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কেজরীবালের আপের বিরোধী হিসেবে উঠে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে এদিনের অনুষ্ঠান থেকে কেজরি বলেন, “গুজরাটে কোথাও কোনও কংগ্রেস নেই। গুজরাটে বিজেপি ও কংগ্রেস একে অপরকে ‘আই লাভ ইউ’ বলে। নিজেদের দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থীদের অর্থ সাহায্য করছে বিজেপি। সেখানে বিজেপি-কংগ্রেস সঙ্গে আপের লড়াই হবে। আমার মতে, গুজরাটে কংগ্রেস ৫টির বেশি আসন পাবে না।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটে বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করতে ‘নরম হিন্দুত্ব’-র কৌশল নিয়েছেন কেজরীবাল। সেই কারণেই ব্যাঙ্ক নোটে লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপার কথা বলেছেন তিনি। কেজরীবালের দাবি, নতুন নোটে এই দুই দেবদেবীর ছবি থাকলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট দূর হবে। আম আদমি পার্টি প্রধান জানিয়েছিলেন, মা লক্ষ্মী সম্বৃদ্ধির দেবী এবং গণেশ যাবতীয় বাধা দূর করেন। এমনকী ইন্দোনেশিয়ার নোটে গণেশের ছবি থাকার প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন কেজরীবাল।