AQI in Delhi: নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার ‘বাজি উৎসব’, ধোঁয়ায় ঢাকা রাজধানীতে এখন নিঃশ্বাস নেওয়াই দায়

AQI in Delhi: দীপাবলিতে আতস বাজি পোড়ানো, বিক্রি, তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল দিল্লির সরকার। তবে তা উপেক্ষা করেই রাজধানীতে চলল আতস বাজির 'খেলা'।

AQI in Delhi: নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার 'বাজি উৎসব', ধোঁয়ায় ঢাকা রাজধানীতে এখন নিঃশ্বাস নেওয়াই দায়
প্রতীকী ছবি (সৌজন্যে : টুইটার )
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2022 | 8:17 AM

নয়া দিল্লি: দিল্লির দূষণের মাত্রা কারোর জানতে বাকি নেই। স্বাভাবিক সময়েই সেখানে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া দায়। দীপাবলিতে সেই দূষণের মাত্রা আরও হাতের বাইরে চলে যায়। সেই কারণে গত কয়েক বছর ধরেই দীপাবলিতে বিভিন্ন ধরনের আতস বাজি তৈরি, বিক্রি ও পোড়োনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লির আপ সরকার। তবে সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রাজধানীর আকাশে দেখা গিয়েছে আলোর রোশনাই। দীপাবলির আগেই কড়া নির্দেশিকা জারি ছিল দিল্লির সরকারের তরফে। এমনকি আতসবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা পড়লেও সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। এবং শীর্ষ আদালতের জানায়, ‘মানুষকে বিশুদ্ধ বাতাস নিঃশ্বাস নিতে দিন।’

তবে সবই বৃথা। দিল্লির প্রশাসনের কড়া নির্দেশিকা, সুপ্রিম কোর্টের আর্জি সব কিছুকেই উপেক্ষা করে দিল্লিবাসী দীপাবলির রাতে গা ভাসিয়েছে আনন্দে। আর তার ফলে নিজের শহরের বাতাস দূষিত হয়েছে আরও। সেখানে এখন নিঃশ্বাস নিতে ফুসফুসও ভয় পাচ্ছে। সোমবারই দিল্লির বাতাসের গুণমান ‘খারাপ অবস্থায়’ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার উপর গতকাল সন্ধে থেকেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে আতস বাজির রোশনাই ও বাজি ফাটানোর শব্দ পাওয়া গিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছেন দিল্লির বাসিন্দারা। বাতাসের গুণমান মাপার জন্য ৪০ টি মনিটরিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সেই স্টেশন মারফত জানা গিয়েছে, দেশের রাজধানীতে বাতাসের গুণমান (Air Quality Index) ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে নেমে গিয়েছে।

বর্তমানে সেখানে AQI ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে। যা খুব খারাপ মানকেই নির্দেশ করে। এর ফলে দিল্লিতে কোনও মানুষ রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকলে তাঁর শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। AQI ৪০১ থেকে ৫০০ -র মধ্যে থাকলে তা সঙ্কটজনক বলে বিবেচিত হয়। বর্তমানে দিল্লির AQI সেই বিপদসীমার মাত্র এক ধাপ উপরেই রয়েছে। AQI ৪০১-৫০০ এর মধ্যে থাকলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ বোধ করতে পারেন, ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর অসুস্থ মানুষদের কথা তো এখানে না বলাই ভাল। এমনিতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। এরপর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উৎসবের আনন্দে আত্মহারা হয়ে দিল্লিবাসী যে বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছেন তাতে নিজেরাই যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

তবে শুধু দিল্লি নয় দীপাবলির পর সব শহরেই AQI মোটামুটি অনেকটা নেমে গিয়েছে। মুম্বইতে সোমবার সকালে যেখানে AQI ছিল ২০০-র নীচে সেখানে মঙ্গলবার সকালে বেশ কিছু মনিটরিং স্টেশনে AQI ২০০-র বেশি দেখা গিয়েছে। তবে কলকাতা এক্ষেত্রে অনেকটা ধাপ এগিয়ে রয়েছে। কলকাতার প্রায় বেশিরভাগ মনিটরিং স্টেশনে AQI ভাল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।