Flipkart: ‘নিষিদ্ধ’ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাসিড কিনেছিল হামলাকারী, কী বলছে অনলাইন সংস্থা?

Delhi Acid Attack: মূল অভিযুক্ত সচিন অরোরা (২০)-র সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিশোরীর। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপরই প্রতিশোধ নিতে ওই যুবক বন্ধুদের সঙ্গে মিলে অ্যাসিড হামলার ছক কষে।

Flipkart: 'নিষিদ্ধ' হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাসিড কিনেছিল হামলাকারী, কী বলছে অনলাইন সংস্থা?
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 8:30 AM

নয়া দিল্লি: প্রেমিকা সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে, এ কথা হজম হয়নি। সেই কারণেই ছক কষেছিল প্রতিশোধ নেওয়ার। অনলাইনে শপিং সাইট থেকে কিনেছিল অ্য়াসিড। সেই অ্যাসিড দিয়েই পুড়িয়ে দিয়েছে প্রাক্তন প্রেমিকার মুখ। দিল্লির হাড়হিম করা এই ঘটনার পরই নোটিস পাঠানো হয়েছিল ফ্লিপকার্টকে। এবার অনলাইন বিপণণি সাইটের তরফে অফিশিয়াল বিবৃতি জারি করে জানানো হল, যে বিক্রেতা ওই অ্যাসিড বিক্রি করেছিল, তাকে ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাসিড হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দাও করা হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা এলাকায় ১৭ বছরের এক কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা হয়। স্কুলে যাওয়ার পথে কিশোরীকে অনুসরণ করে একটি বাইক, সেই বাইকে ছিল দুই যুবক। চলন্ত বাইক থেকেই স্কুল পড়ুয়া ওই কিশোরীর মুখে অ্যাসিড জাতীয় কোনও রাসায়নিক ছুঁড়ে মারা হয়।পুড়ে যায় কিশোরীর মুখের ৮ শতাংশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ওই কিশোরী। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ইতিমধ্যেই হামলাকারী দুইজনকে চিহ্নিত করেছে আহত কিশোরী। পুলিশ গ্রেফতার করেছে হামলায় জড়িত তিনজনকে।

জেরায় জানা যায়, মূল অভিযুক্ত সচিন অরোরা (২০)-র সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিশোরীর। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপরই প্রতিশোধ নিতে ওই যুবক বন্ধুদের সঙ্গে মিলে অ্যাসিড হামলার ছক কষে। অনলাইনে ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাসিড কেনে। বুধবার ওই কিশোরী যখন তাঁর বোনকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল, সেই সময় অভিযুক্ত যুবক বন্ধুর বাইকে চেপে আসে এবং কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার ফ্লিপকার্ট সংস্থার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে ঘটনার জন্য় দুঃখপ্রকাশ করা হয়। সংস্থার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা এই দুঃখজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের জন্য প্রার্থনা রইল আমাদের। ফ্লিপকার্ট মার্কেটপ্লেস প্ল্যাটফর্ম অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সমস্ত পণ্যের উপরে নজরদারি চালায় এবং যে পণ্যগুলি গুণমান উত্তীর্ণ হতে পারে না, তাকে বিক্রয় তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। যে বিক্রেতা এই বেআইনি, অসুরক্ষিত ও নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি করেছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই বিক্রেতাকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।”