Scindia taunts Rahul: ‘২০১৪ সালের আগের কথা বলছিলেন’, দুই ভারত প্রসঙ্গে রাহুলকে খোঁচা প্রাক্তন সেনাপতির
Jyotiraditya Scindia: "রাহুল গান্ধী বলেছেন, ভারতকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমি আশ্চর্য হয়েছি যে ভারতের কোনও নাগরিক এমন বক্তব্য করতে পারেন।" মন্তব্য, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার।
রায়পুর : লোকসভায় রাহুলের (Rahul Gandhi) ‘দুই ভারত’ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন রাহুলেরই প্রাক্তন সেনাপতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শনিবার ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে ফেরেন। সেই সময় বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুলকে কার্যত তুলোধনা করলেন। রাহুলের মন্তব্যের পাল্টা আঘাত শানিয়ে তিনি বলেন, “আমার দেশ ভারত, আমার দেশ এক, আমার দেশ এক পরিবার। আমার দেশে ভ্রাতৃত্বের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয়।” উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে লোকসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রের বিজেপি শাসিত সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, বিজেপি আজ ভারতকে দুটি দেশে ভাগ করেছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রায়পুরে রাহুল গান্ধী এসেছিলেন। সেখানে তিনি ছত্তীসগঢ় অমর জওয়ান জ্যোতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেছেন, “আমার দেশ ভারত, আমার দেশ এক, আমার দেশ এক পরিবার। আমার দেশে ভ্রাতৃত্বের সংস্কৃতি। রাহুল গান্ধী বলেছেন, ভারতকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমি আশ্চর্য হয়েছি যে ভারতের কোনও নাগরিক এমন বক্তব্য করতে পারেন।”
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও বলেন, “সম্ভবত রাহুল গান্ধী ২০১৪ সালের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করছিলেন, যখন কোনও অগ্রগতি এবং উন্নয়ন ছিল না। শুধুমাত্র দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ছিল। কিন্তু (প্রধানমন্ত্রী) মোদীজি ক্ষমতায় আসার পর, অন্য এক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে যেখানে দুর্নীতি দমন হয়েছে এবং এগিয়ে যাওয়ার দরজা খোলা হয়েছে। উন্নয়নের পথ খুলেছে। এখন ভারত বিশ্ব মঞ্চে উঠে আসছে। এটি এখন এমন একটি দেশ যেখানে দরিদ্রদের কেবল তাদের অধিকারই নয়, সেই সঙ্গে উন্নয়ন ও অগ্রগতির নতুন মাত্রা তাদের হাতে রয়েছে।”
রাহুল গান্ধী লোকসভায় তাঁর সাম্প্রতিক বক্তৃতায় এবং রায়পুরে একটি অনুষ্ঠানে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দেশকে দু’টি ভারতে বিভক্ত করার অভিযোগ করেছিলেন – একটি বড়লোকদের জন্য এবং অন্যটি কোটি কোটি সাধারণ মানুষের জন্য। পরবর্তী সময়ে রায়পুরের রাজ্য বিজেপি অফিস একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেখানে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকেও একহাত নেন সিন্ধিয়া। ভূপেশ বাঘেল সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যে বিমান পরিষেবা সম্প্রসারণের কাজে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগও তুলেছেন। একইসঙ্গে কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে দুর্নীতির অভিযোগও করেন তিনি। ছত্তীসগঢ়ের বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, রায়পুর বিমানবন্দরে ৪৬০ বর্গ মিটার এলাকায় একটি কার্গো ব্যবস্থা রয়েছে এবং তাঁর মন্ত্রক এটিকে ১০ গুণ বাড়িয়ে চ৪ হাজার ৫০০ বর্গ মিটার করার পরিকল্পনা করছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা