AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিরাট শাস্তির মুখে ICICI Bank ও Vodafone-Idea, লাখ লাখ টাকার জরিমানা! কারণ কী জানেন?

IT Act: সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে আসে যে আহমেদাবাদে ভোডাফোন-আইডিয়ার সিম সোয়াপের এক বিরাট প্রতারণা চক্র সামনে আসে। এই ধরনের কমপক্ষে ২০টি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, তবুও সংস্থার তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। 

বিরাট শাস্তির মুখে ICICI Bank ও Vodafone-Idea, লাখ লাখ টাকার জরিমানা! কারণ কী জানেন?
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: X
| Updated on: Dec 11, 2025 | 7:54 AM
Share

আহমেদাবাদ: তথ্য প্রযুক্তি আইনে কড়া শাস্তির মুখে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI Bank) ও ভোডাফোন-আইডিয়া(Vodafone-Idea)। গুজরাটের আহমেবাদের একটি ফার্ম সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা হারায়। তদন্তে উঠে আসে সিম কার্ড ক্লোনিংয়ের প্রসঙ্গ। আর তারপরই বড় পদক্ষেপ। ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক-কে। ৫ লাখের জরিমানা করা হয়েছে ভোডাফোন-আইডিয়াকে। কীভাবে প্রতারণা হল?

২০২৩ সালে অনলাইন প্রতারণায় টাকা খুইয়ে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ও ভোডাফোনের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হয় গুজরাটের ওই ট্রেড সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার ডিরেক্টর প্রকাশ মেহতা ভিয়েনামে গিয়েছিলেন। ১১ মার্চ তাঁর কাছে সিম সোয়াপের জন্য একটি মেইল আসে। এই নম্বরটিই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা ছিল, যাতে ওটিপি আসত।

কোনও ভেরিফিকেশন ছাড়াই ভোডাফোন-আইডিয়া সিম সোয়াপের রিকোয়েস্ট প্রসেস করে এবং ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে নতুন সিম অ্যাক্টিভেট করে দেয়। রবিবার যখন অফিস বন্ধ ছিল, সেই সময় প্রতারকরা নকল সিম দিয়ে ২২বার লেনদেন করে। আরটিজিএস ও এনইএফটি-র মাধ্য়মে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরেরদিন ওই ব্যক্তি প্রতারণা সম্পর্কে জানতে পেরে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-র ৪৩ ও ৪৩এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, অপরাধীরা সিম সোয়াপ (SIM swap) পদ্ধতি ব্যবহার করে ওটিপি সিকিউরিটি-কে ধোঁকা দিয়েছিল। আসল গ্রাহকের কাছে কোনও ওটিপিই আসেনি। এদিকে ওই কোম্পানির ওভারড্রাফ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যায়।

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গাইডলাইন অনুযায়ী সমস্ত ভেরিফায়েড পাসওয়ার্ড, ওটিপি, এমপিন দিয়েই লেনদেন হয়েছিল, তাই সন্দেহ হয়নি। পরে ব্যাঙ্কের তরফে আভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হয় এবং উপভোক্তা (যে অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল) অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভোডাফোনও দাবি করে যে রেজিস্টার্ড ইমেইল থেকে রিকোয়েস্ট আসাতেই তারা কর্পোরেট ওনড কর্পোরেট পেইড (COCP) কানেকশনের গাইডলাইন করে ক্লোন সিম ইস্যু করে। ট্রাই (TRAI)-র কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। 

অভিযোগকারীও পাল্টা লড়াই করেন। রোমিংয়ে থাকাকালীন বড় লেনদেনের ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি কন্ট্যান্ট বা বাধ্যতামূলক অডিয়ো-ভিডিয়ো প্রসিডিউর অনুসরণ করা হয়নি বলেই জানান।

সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে আসে যে আহমেদাবাদে ভোডাফোন-আইডিয়ার সিম সোয়াপের এক বিরাট প্রতারণা চক্র সামনে আসে। এই ধরনের কমপক্ষে ২০টি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, তবুও সংস্থার তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।