Husband-Wife Relation: স্ত্রীর যৌনতায় রাজি না হওয়া স্বামীর ওপর মানসিক অত্যাচার, বলল হাইকোর্ট

High Court of married life: ২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির। বিয়ের পরই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন স্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিয়েছে তাঁকে। এরপর ভোপালে ওই মহিলা বাপের বাড়ি চলে যান।

Husband-Wife Relation: স্ত্রীর যৌনতায় রাজি না হওয়া স্বামীর ওপর মানসিক অত্যাচার, বলল হাইকোর্ট
প্রতীকী ছবিImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jan 13, 2024 | 12:32 PM

ভোপাল: বিয়ে হয়েছিল রীতি মেনেই। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই অদ্ভুত দাবি করেন স্ত্রী। তিনি নাকি চাননি যে এই বিয়েটা হোক। তাই স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেও রাজি ছিলেন না। এভাবেই কেটেছে বছরের পর বছর। ২০০৬ সালে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই সম্পর্ক সুস্থ ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে। অবেশেষে সেই দম্পতির বিচ্ছেদে সায় দিল হাইকোর্ট। শারীরিক সম্পর্ক নেই, এই যুক্তিতে বিচ্ছেদে সায় দিতে রাজি ছিল না নিম্ন আদালত। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। তবে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এভাবে দিনের পর দিন স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়া মানসিক অত্যাচারে সমতুল্য।

মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি শীল নাগু ও বিচারপতি বিনয় সরাফ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। অভিযোগ, প্রথম থেকে সম্পর্ক মেনে না নিলেও বিচ্ছেদে রাজি হচ্ছেন না স্ত্রী। যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁর প্রেক্ষিতে ওই মহিলার তরফ থেকে কেউ সওয়াল করেননি আদালতে।

জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির। বিয়ের পরই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন স্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিয়েছে তাঁকে। এরপর ভোপালে ওই মহিলা বাপের বাড়ি চলে যান। তারপরও বৈবাহিক সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিলেন না তিনি।

অভিযোগ, ২০১৩ সালে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। যার জন্য তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়িকে ২৩ দিন জেলে কাটাতে হয়েছিল। পরে শ্বশুরের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেন অভিযোগ তুলতে, রাজি হন ডিভোর্সেও। স্বামীর দাবি, পরবর্তীতে বিচ্ছেদে আর রাজি হননি স্ত্রী। ভোপালে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিচ্ছেদ হওয়ার মতো কোনও কারণ ঘটেনি। এরপর মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সেখানেই বিচ্ছেদে মিলল সম্মতি।