India-China: চিনকে দীপাবলীর লাড্ডু খাওয়াবে ভারত! সীমান্তে ড্রাগনের দাপাদাপি শেষ
India-China: দীপাবলি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর), ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় মিষ্টি বিনিময় করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সৈন্যরা। গত কয়েক বছরে এই ছবি ছিল অভাবনীয়। কিন্তু অবশেষে সীমান্তে শেষ হল ড্রাগনের দাপাদাপি।
নয়া দিল্লি: দীপাবলি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর), ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় মিষ্টি বিনিময় করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সৈন্যরা। গত কয়েক বছরে এই ছবি ছিল অভাবনীয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চলছিল দুই পক্ষের অচলাবস্থা। কিন্তু, বুধবারের মধ্যেই দুই দেশই লাদাখের ডেপসাং এবং ডেমচক থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছর ধরে, সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের যে সংঘর্ষ চলছিল, তার অবসান ঘটল বলা চলে। এবার তাই মিষ্টিমুখ।
সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, “লাদাখ সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।” সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে।
গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাঁউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে সপ্তাহে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন।