Indian Space Research Organization: মহাকাশ দৌড়ে ভারতের বিশ্বরেকর্ড, ২০৪০ সালে চাঁদে পৌঁছাবে মানুষ?
World Records By ISRO: ইসরো চেয়ারম্যানের মতে, এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁদের খরচ বাঁচানোর কৌশল। প্রতিটি পরীক্ষা খুব সাবধানে করা হয়, যার ফলে লঞ্চের খরচ অনেক কম থাকে। এর উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মাত্র ২৮ মাসে ক্রায়োজেনিক স্টেজের সফল উড়ানের কথা।

কম খরচে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা চিনের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে ভারতের ইসরো। আর সেই ইসরো মহাকাশ গবেষণায় ইতিমধ্যেই ৯টি বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে। আর এই গতিতে যদি ইসরো এগোতে থাকে তাহলে আগামী কয়েক বছরে আরও ৮-১০টি বিশ্বরেকর্ড করে ফেলবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আর এই নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর একটি বড় ঘোষণা করলেন ইসরোর চেয়ারম্যান।
২০০৮ সালে ভারতের পাঠানো ‘চন্দ্রযান-১’ চাঁদে জলের অণুর সন্ধান দেয়। ২০১৪ সালে ‘মঙ্গলযান’ প্রথম চেষ্টাতেই মঙ্গলে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করে। বিশ্বে আর কোনও দেশ এই কাজ করতে পারেনি।
২০১৭ সালে ইসরোর PSLV-C37 রকেট এক সঙ্গে ১০৪টি স্যাটেলাইট মহাকাশে নিয়ে যায়। এই সংখ্যাটি ছিল একটি বিশ্ব রেকর্ড। ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট, ‘চন্দ্রযান-৩’ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। যার ফলে, ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হয়ে ওঠে।
ইসরো চেয়ারম্যানের মতে, এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁদের খরচ বাঁচানোর কৌশল। প্রতিটি পরীক্ষা খুব সাবধানে করা হয়, যার ফলে লঞ্চের খরচ অনেক কম থাকে। এর উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মাত্র ২৮ মাসে ক্রায়োজেনিক স্টেজের সফল উড়ানের কথা।
এখনও পর্যন্ত ভারত শতাধিক রকেট ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। আগামীর লক্ষ্য আরও বড়। ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা।
