Bizarre Love Story: পালিয়ে বিয়ের প্ল্যান ছিল, এলই না বয়ফ্রেন্ড, অন্যজনকে বিয়ে করে বাড়ি ফিরল মেয়ে!
Bizarre: শ্রদ্ধা বিবিএ ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া। ইন্দোরের বাসিন্দা শ্রদ্ধার প্রেম ছিল সার্থক নামে এক যুবকের সঙ্গে। তবে দুই বাড়িই তাদের সম্পর্ক মানছিল না। সেই কারণে শ্রদ্ধা পরিকল্পনা করে যে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে।

ইন্দোর: সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে! কলেজ পড়ুয়া যুবতীর কাণ্ডে স্তম্ভিত পরিবার। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল মেয়ে। পরিকল্পনা ছিল প্রেমিককে বিয়ে করার। ৭ দিন পর মেয়ে বাড়ি ফিরল বটে, তবে অন্যজনকে বিয়ে করে।
শ্রদ্ধা বিবিএ ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া। ইন্দোরের বাসিন্দা শ্রদ্ধার প্রেম ছিল সার্থক নামে এক যুবকের সঙ্গে। তবে দুই বাড়িই তাদের সম্পর্ক মানছিল না। সেই কারণে শ্রদ্ধা পরিকল্পনা করে যে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৩ অগস্ট রাত ২টো নাগাদ শ্রদ্ধা বাড়ি থেকে বের হয়। মোবাইল ফোন বাড়িতেই রেখে যায়। ইন্দোর স্টেশনে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও, প্রেমিক সার্থক আসেনি। এরপরই শ্রদ্ধা রতলামগামী একটি ট্রেনে উঠে পড়ে।
সেই ট্রেনে আবার দেখা হয় করণদীপ নামক এক যুবকের সঙ্গে। সে ইন্দোরের একটি কলেজে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে। ট্রেনেই তাদের কথা হয়, সেখানেই তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে বিয়ে করবে। প্রথমে মান্দাসোর যায়, সেখান থেকে মহেশ্বর যায়। বাড়ি থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দিরে বিয়ে করে তারা। এরপর শ্রদ্ধা সরাসরি ইন্দোর পুলিশ স্টেশনে এসে হাজির হয়।
এদিকে, বিগত ৭ দিন ধরে পুলিশ হন্যে হয়ে শ্রদ্ধাকে খুঁজছিল। পুলিশকে যখন শ্রদ্ধা জানায় যে সে বিয়ে করেছে, তাতেও বিশ্বাস করতে চায়নি পুলিশ। তাঁর প্রেমিক সার্থককে জেরা করা হলে, সে জানায় যে বিগত কয়েকদিন ধরেই শ্রদ্ধার সঙ্গে তার কথা হয়নি।
শ্রদ্ধার বাবা অনিল তিওয়ারিও মেয়ের বিয়ের দাবি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “আমি এই বিয়ে মানছি না। আমি ওকে বাড়ি ফেরার টাকা পাঠানোর পরও ও করণদীপের সঙ্গেই থাকছে”। তিনি দাবি করেন, তাঁর মেয়ের মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। এমনকী করণদীপের সঙ্গে ফোনে যখন তাঁর কথা হয়েছিল, তখন করণদীপও জানিয়েছিল যে ওই রাতে শ্রদ্ধা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছিল, সেই সময় সে বাঁচায়।
শ্রদ্ধার পরিবারের তরফে ৫১ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে যদি কেউ বলতে পারেন যে এই ৭ দিন শ্রদ্ধা কোথায় ছিল, তা জানালে।
