Lady of Justice Statue: আইনের চোখ আর বাঁধা নয়, তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, সুপ্রিম কোর্টে বসল ‘লেডি অব জাস্টিস’-র নতুন মূর্তি
Lady of Justice Statue: প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ নতুন এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। মূর্তি চোখ খোলা রেখে প্রধান বিচারপতি বার্তা দিতে চেয়েছেন যে ভারতের আইন অন্ধ নয়। সকলকে সমান চোখে দেখে বিচার করে। তরোয়ালের পরিবর্তে মূর্তি একহাতে সংবিধান রেখে বার্তা দেওয়া হয়েছে, দেশের আইন কেবল শাস্তির প্রতীক নয়।
নয়াদিল্লি: চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা। এক হাতে দাঁড়িপাল্লা। অন্য হাতে তরোয়াল। এতদিন ‘লেডি অব জাস্টিস’-র এই ছবিই দেখা গিয়েছে। এবার তা বদলে গেল। আইনের চোখ আর বাঁধা রইল না। আর কেউ বলতে পারবে না, আইন ‘অন্ধ’। একহাতে দাঁড়িপাল্লা রইল। কিন্তু, তরোয়ালের জায়গায় অন্য হাতে এল সংবিধান। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের লাইব্রেরিতে ‘লেডি অব জাস্টিস’-র এই নতুন মূর্তি বসানো হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ নতুন এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। মূর্তির চোখ খোলা রেখে প্রধান বিচারপতি বার্তা দিতে চেয়েছেন যে ভারতের আইন অন্ধ নয়। সকলকে সমান চোখে দেখে বিচার করে। তরোয়ালের পরিবর্তে মূর্তির একহাতে সংবিধান রেখে বার্তা দেওয়া হয়েছে, দেশের আইন কেবল শাস্তির প্রতীক নয়। ন্যায়বিচারের প্রতীক।
পুরনো মূর্তির একটি হাতে যে দাঁড়িপাল্লা ছিল, নতুন মূর্তিতেও তা রয়েছে। আদালত যে বাদী ও বিবাদী পক্ষের যুক্তি শুনে বিচার করে, তারই প্রতীক এই দাঁড়িপাল্লা। তাই, নতুন মূর্তিতেও রয়েছে তা। অনেকে বলছেন, এই পদক্ষেপ ন্যায়বিচারের ঔপনিবেশিক ধারণার সমাপ্তির প্রতীক। যেভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধি বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু করা হয়েছে, সেভাবেই ঔপনিবেশিক ধারণার সমাপ্তি ঘটিয়ে বসানো হল ‘লেডি জাস্টিস’-র নতুন মূর্তি।