Rahul Gandhi: ওয়ানাডে রাহুল, ইন্ডিয়া ব্লকের অন্দরেই জোরদার ‘কুস্তি’

Rahul Gandhi: সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী অ্যানি রাজা লড়তে নেমেছেন রাহুলের বিরুদ্ধে। অ্যানি রাজার কথায়, গত পাঁচ বছরের রাহুল গান্ধীর ভূমিকা হতাশাজনক। অর্থাৎ ওয়ানাডের সাংসদ হিসাবে রাহুলের ভূমিকা নিয়ে কেরলের বাম ও বিজেপির মূল্যায়ণ একই।

Rahul Gandhi: ওয়ানাডে রাহুল, ইন্ডিয়া ব্লকের অন্দরেই জোরদার 'কুস্তি'
ফিটনেসের জন্য রাহুল গান্ধী নানা কসরত করেন। তিনি জাপানি মার্শাল আর্ট আইকিডোতে মার্শালের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পরে এক ছাত্রকে তিনি এই কৌশল শিখিয়েছেনImage Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2024 | 11:24 PM

কেরল: এনডিএ জোটকে পরাস্ত করতে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া ব্লক। কিন্তু যে সমস্ত রাজ্যে এই মঞ্চ বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে, তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে রয়েছে কেরলের নাম। ওয়ানাড থেকে ভোটে লড়ছেন রাহুল গান্ধী। এদিকে এই কেন্দ্রেই আবার বাম শরিক সিপিআইও প্রার্থী দিয়েছে আগেই। অর্থাৎ ইন্ডিয়া ব্লকের শরিক বাম প্রার্থী অ্যানি রাজার সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাহুল। এক সুরে রাহুলকে নিশানা বাম বিজেপির।

ওয়ানাড রাহুল গান্ধীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল। অমেঠীতে হেরে গিয়েও রাহুল সংসদে ঢুকতে পেরেছিলেন কেরলের এই লোকসভা কেন্দ্রের আশীর্বাদে। কিন্তু তার পরও গত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসাবে তিনি ওয়ানডের জন্য কিছুই করেননি বলে অভিযোগ উঠছে কেরলের ভোট প্রচারের ময়দানে। বিজেপি রাহুলকে সরাসরি ‘ফ্লপ’ বলে খোঁচা দিচ্ছে। আর ইন্ডিয়া ব্লকের শরিক সিপিআইয়ের মতো দলের নেতারাও রাহুলের পারফরম্যান্সকে বলছেন হতাশাজনক।

কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন, “গত পাঁচ বছরে সংসদে রাহুল গান্ধী ওয়ানাডের জন্য একটা শব্দ খরচ করেননি। উনি একজন ফ্লপ সাংসদ। উনি ওয়ানাডের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”

সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী অ্যানি রাজা লড়তে নেমেছেন রাহুলের বিরুদ্ধে। অ্যানি রাজার কথায়, গত পাঁচ বছরের রাহুল গান্ধীর ভূমিকা হতাশাজনক। অর্থাৎ ওয়ানাডের সাংসদ হিসাবে রাহুলের ভূমিকা নিয়ে কেরলের বাম ও বিজেপির মূল্যায়ণ একই।

একমাত্র ২০১৯ সালে জয়ের বিরাট ব্যবধান রাহুলকে কিছুটা স্বস্তিতে রাখছে। ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন রাহুল। রাহুল গান্ধীর বাম প্রতিদ্বন্দ্বীর অবশ্য দাবি, গণতন্ত্রে কোনও ব্যবধানই চিরস্থায়ী নয়। ফলে নিশ্চিন্ত থাকার মতো রাজনীতিতে কিছুই নেই। এ প্রসঙ্গে অ্যানি রাজা তুলে আনেন অমেঠীর প্রসঙ্গ। বলেন, সেখানেও তো এক সময় বড় মার্জিন রেখেই জিততেন রাহুল। কিন্তু ২০১৯ সালে কী হল? বাম প্রার্থী মনে করিয়ে দেন, গণতন্ত্রে একটা ভোটও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ভুললে চলবে না।

কেরলের কংগ্রেস অবশ্য বুক ঠুকে দাবি করছে, রাহুল আসলে জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর লড়াই করছেন। ভোটে জিতলেও রাহুল ওয়ানাডকে সময় দেননি, এমন অভিযোগও খারিজ করছেন তাঁর ভোট ম্য়ানেজাররা। ওয়ানাড লোকসভার মধ্যে পড়ে সুলতান বাথেরি বিধানসভা কেন্দ্র। এখানকার বিধায়ক আইসি বালাকৃষ্ণন বলেন, “ওনার কাজ মানুষ দেখেছেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জন্য কাজ করেছেন তিনি। এবার ৫ লক্ষের বেশি ভোটে জিতবেন উনি।”

গান্ধীরা যখনই রাজনৈতিকভাবে সঙ্কটে পড়েছে, তখনই তাদের উদ্ধার করেছে দাক্ষিণাত্যের কোনও না কোনও রাজ্য। ইন্দিরা গান্ধীকে উদ্ধার করেছিল কর্ণাটকের চিকমাগালুর। আর ইন্দিরার গান্ধীর নাতি রাহুলকে রাজনৈতিকভাবে নয়া জীবন দিয়েছিল কেরলের ওয়ানাড। আবারও কি সে চমক দেখা যাবে, এ প্রশ্নের দামই এখন লাখ টাকা।