গত দু’দিন ধরে মারাঠা রাজনীতিতে চলছে চাপা উত্তেজনা। বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডের চাপের মুখেই একরকম ‘আত্মসমর্পণ’ করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে জনগণ ও শিবসেনা নেতাদের উদ্দেশে ভাষণে তিনি জানান, ইস্তফাপত্র তৈরি রেখেছেন তিনি। কোনও এক শিবসেনা বিধায়কও না চাইলে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত তিনি। এর সঙ্গে তিনি বলেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত, তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও শিবসেনা নেতাকেই থাকতে হবে। এদিকে এই মহাসঙ্কটের একমাত্র সমাধান হিসেবে মহা বিকাশ অগাড়ি জোটের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই পরামর্শে কান না দিয়ে শিন্ডে নিজের দাবিতেই অনড় থাকেন। তিনি দিনের শেষে পুনরায় এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর কথা বলেন। এদিকে গতকাল রাতেই পরিবার নিয়ে ‘বর্ষা’ (মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) থেকে মাতোশ্রীতে নিজের বাসভবনে গিয়ে ওঠেন উদ্ধব ঠাকরে।
বিদ্রোহের মুখে পড়ে ১২ জন শিবসেনা বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানানো হয়েছে দলের তরফে। সেনা সাংসদ অরবিন্দ সওয়ান্ত জানিয়েছেন, এদের মধ্যে রয়েছেন একনাথ শিন্ডেও।
এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এদিন বলেছেন, ‘অনাস্থা ভোটেই জানা যাবে কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘সবাই জানেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের কীভাবে গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে অসমে। তাঁদের যাঁরা সাহায্য করেছে আমরা তাঁদের নাম নিতে চাই না…অসম সরকার তাঁদের সাহায্য় করছে। পরবর্তীকালেও আমাকে নাম নিতে হবে না।’
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এনসিপির অজিত পওয়ার এদিন জানিয়েছেন, উদ্ধব ঠাকরেকেই সমর্থন করবেন। সরকার বাঁচাতে সবকিছু করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিন এক সংবাদ মাধ্যমকে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে বলেছেন, ‘আমাদের সংখ্যা বেশি রয়েছে। ৪০ জন বিধায়ক রয়েছে আমাদের সঙ্গে। কে বলেছে আমরা ফিরে যাব? আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। জল অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। আমরা সবকিছু চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, ‘অনৈতিক ও অসাংবিধানিকভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি।’ এদিন উদ্ধবের হয়ে সুবিচার চান তিনি। তিনি এদিন আরও বলেছেন যে, ‘অসমের এই ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই কেন্দ্রীয় ওদের সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বদলে বিরক্ত করছে কেন?বিধায়ক কেনাবেচা করতে তাঁদের সবাইকে অসমে পাঠিয়ে দেওয়া হল।’ তিনি আরও বলেন, ‘অসমের বদলে বাংলায় পাঠাতে পারতেন। আমরা ভাল আতিথেয়তা করতাম। গণতন্ত্রকে বাঁচাতাম।’
এদিন বৈঠকে বসেছেন এনসিপি। বৈঠক শুরুর আগে এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পাশেই রয়েছি।’
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের প্রধান নানা পাটোলে এদিন বলেছেন, ‘বিজেপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে আটকাতে আমরা ওদের (শিবসেনা) সঙ্গে রয়েছি। এই খেলা চলছে শুধুমাত্র ইডির কারণে…আমরা এমভিএ-র সঙ্গে রয়েছি এবং থাকব। তাঁরা (শিবসেনা) যদি অন্য কারোর সঙ্গে জোট গড়তে চান তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।’
সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে যদি বিধায়করা মুম্বই ফিরে আসেন, তাহলে মহা বিকাশ অগাড়ি ছাড়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে।’
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Political Crisis : শিন্ডের দাবিকেই মান্যতা? বিদ্রোহীদের ফিরে আসার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দিল শিবসেনা
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতিতে সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন যে দল এখনও ঠিক রয়েছে এবং যাঁরা বিদ্রোহ করছেন তাঁরা বাল ঠাকরের সত্যিকারের ‘ভক্ত’ নয়। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছেন, ‘২০ জনের মতো আমাদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে। তাঁরা মুম্বই এলেই জানতে পারবেন আপনারা। খুব শীঘ্রই জানা যাবে, কোন পরিস্থিতি ও চাপের মুখে বিধায়করা আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন।’ যেখানে বিদ্রোহী শিবিরে শিবসেনার ৩৪ জন রয়েছেন সেখানে ২০ জনের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে দাবি রাউতের। তাহলে কি যেকোনও পাশার দান উল্টে যেতে পারে! তা দিন গড়াতেই জানা যাবে।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Political Crisis : ‘ধীরে ধীরে সব জানতে পারবেন,’ শিন্ডের হিসেব উল্টে দিচ্ছেন রাউত
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়াল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। শিবসেনার ক্ষমতার লড়াইয়ে এবার জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলও। এ দিন সকালেই অসমের গুয়াহাটিতে একটি পাঁচতারা হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অসম তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ওই হোটেলেই থাকছেন মহারাষ্ট্রের নগরোন্নায়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অসমের তৃণমূল প্রধান রিপুন বোরা।
উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছেন রাজ্য়েরই মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। শিবসেনা প্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন শিন্ডে। সেখানে তিনি সাফ জানালেন, শিবসেনার ৫৭ জন বিধায়কের মধ্যে ৩০ জনেরই সমর্থন তাঁর সপক্ষে রয়েছে। এছাড়া চারজন নির্দল বিধায়কও তাঁকে সমর্থন জানাচ্ছেন। মোট ৩৪ জন বিধায়কের সাক্ষরিত ওই চিঠিতে নিজেকেই শিবসেনার পরিষদীয় দলের প্রধান বলে দাবি করেছেন এবং তাঁকে যেন ওই পদেই বহাল রাখা হয়, সেই আর্জিও জানিয়েছেন।
তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আরব সাগরের তীরে কার রাজত্ব থাকবে, তা নিয়ে তুমুল টানাপোড়েন চলছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আভাস দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার রাতেই সরকারি বাসভবন ছেড়েও চলে যান তিনি। এদিকে, মহা আগাড়ি জোটের দুই জোটসঙ্গী কংগ্রেস ও এনসিপিও সঙ্কট মেটানোর উপায় খুঁজতে বৈঠকে বসে। সূত্রের খবর, সরকার বাঁচাতে একনাথ শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, এমনটাই চান তারা। শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর এটিই একমাত্র পথ বলে দাবি তাদের।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Crisis: উদ্ধব নন, আরব সাগরের তীরে রাজ করবেন ‘ইনি’, কংগ্রেস-এনসিপি প্রধানের বৈঠকেই মিলল আভাস
রাজনৈতিক টানাপোড়েনে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। বুধবারই শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বক্তব্যেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে সরকার বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারেন উদ্ধব ঠাকরে। বেলা গড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সেই মন্তব্যে সম্মতি জানিয়েছিলেন। এখনও অবধি ইস্তফা না দিলেও, রাত হতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ফাঁকা করে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই বুধবার তিনি নিজের বাড়ি ‘মাতোশ্রী’তে ফিরে আসেন।
বিস্তারিত পড়ুন : Uddhav Thackeray: করোনা আক্রান্ত, তবুও বাড়ি ছাড়লেন উদ্ধব! মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা কি এখন সময়ের অপেক্ষা?
এদিন সন্ধেবেলাতেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান জানিয়েছিলেন বিধায়করা না চাইলে তিনি ইস্তফা দিতে প্রস্তুত। এরপর আজই তিনি বর্ষা (মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) থেকে ঠাকরে পরিবারের বাসভবন মাতোশ্রীতে গিয়ে উঠেছেন।
#WATCH Maharashtra CM Uddhav Thackeray reaches ‘Matoshree’ after leaving CM residence#Mumbai pic.twitter.com/bSZrifjAj1
— ANI (@ANI) June 22, 2022
আবেগের তাস খেলে পাশা পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকার বার্তা দিলেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরের ফেসবুক লাইভের পর এদিন টুইট করে পুনরায় আগের দাবির কথাই জানালেন শিন্ডে। তিনি জানিয়েছেন, শিবসেনার টিকে থাকার জন্য শরদ পওয়ার ও কংগ্রেসের সঙ্গে ‘অস্বাভাবিক জোট’ থেকে বেরিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Political Crisis : ‘অস্বাভাবিক জোট থেকে বেরিয়ে আসা দরকার,’ উদ্ধবের প্রস্তাবের পরও নিজের অবস্থানে অনড় শিন্ডে
এদিন উদ্ধবের বাসভবনে বৈঠকে বসেন শরদ পওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে। এরপর সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হিসেবে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাবের পরমার্শ দিয়েছে কংগ্রেস ও শরদ পওয়ার।
গতকাল থেকেই একের পর এক ঘটনা ঘটছে মারাঠা রাজনীতিতে। মহা রাজনৈতিক সঙ্কটের মাঝেই বুধবার সকালে বারংবার এই প্রশ্ন উঠেছিল যে, পদত্য়াগ করতে পারেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বক্তব্যে জল্পনা আরও তুঙ্গে ওঠে। তিনি এদিন টুইটে বিধানসভা ভেঙে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে বদলাচ্ছে, তা বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পথেই এগোচ্ছে।’ যদিও বিধানসভা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বললেও লড়াই না ছাড়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এবার এদিন সন্ধেয় কিছুটা এমনটাই সুর শোনা গেল মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কণ্ঠে। তিনি জানিয়েছেন যে মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত তিনি। পাশাপাশি দলের প্রধানের পদ ছেড়েও দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Political Crisis : ‘ইস্তফাপত্র তৈরি রেখেছি, বিধায়করা না চাইলে সরে যাব,’ মহাসঙ্কটের মাঝেই জানালেন ঠাকরে
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের মধ্য়েই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার।
NCP chief Sharad Pawar, Supriya Sule and Jitendra Awhad arrive at the residence of Maharashtra CM Uddhav Thackeray, in Mumbai. pic.twitter.com/ulRsG8vFUp
— ANI (@ANI) June 22, 2022
এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি বিধায়কদের কাছে পদত্যাগ পত্র দিতে প্রস্তুত। তাঁদের এখানে এসে আমার পদত্যাগপত্র রাজ ভবনে নিয়ে যাওয়া উচিত। আমি শিবসেনার প্রধানের পদ ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত। তবে অন্য কারোর কথায় নয়, আমাদের কর্মীর কথাতেই পদত্যাগ করতে প্রস্তুত আমি।’
I am ready to give my resignation to the MLAs, they should come here and take my resignation to Raj Bhavan. I am ready to leave the post of Shiv Sena party head also, not on the saying of others but my workers: Maharashtra CM Uddhav Thackeray pic.twitter.com/rGyyQ8VGhe
— ANI (@ANI) June 22, 2022
এদিন সর্বসমক্ষে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, ‘হিন্দুত্ব শিবসেনার পরিচয়, আমরা তা কোনওদিন পরিত্যাগ করব না।’
শিবসেনার তরফে এদিন হুইপ জারি করে সকল বিদ্রোহী নেতাকে মুম্বই ফেরার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তবে একনাথ দাবি করেন, এই হুইপ কোনও কাজের নয়। এর পাশাপাশি বিদ্রোহী শিবিরের দলনেতাও বেছে নেওয়া হয়।
মহারাষ্ট্রের মহাসঙ্কটের মধ্যেই রাজনীতিতে নয়া মোড়। মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ‘বেপাত্তা’ বিক্ষুব্ধ নেতাদের দলেই অন্য সুর। দল ভেঙে সুরাট থেকে মুম্বই ফিরলেন শিবসেনা বিধায়ক নিতিন দেশমুখ। মুম্বইয়ে পা রেখেই অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছিল। এবং তাঁকে মোদী-শাহের রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Political Crisis : ‘অপহরণ করে নিয়েছিল আমায়,’ রাজ্যে ফিরেই উল্টো সুর নিতিনের মুখে
এদিন কমল নাথ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন যে, তাঁর উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করার ছিল। কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। ফোনেই বেশ কিছুক্ষণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরোত্তর নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। এদিন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত টুইট করে জানিয়েছেন, ‘মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিধানসভা ভেঙে যাওয়ার পথে এগোচ্ছে।’
মহারাষ্ট্রে চলতি রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি। এদিন রাজ ভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘রাজ্যপালের কোভিড উপগসর্গ রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন এবং অন্য রাজ্যপালকে তাঁর দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্য়মে করতেই পারেন।’
মহা সঙ্কটে পড়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বেই প্রথমে গুজরাট ও বর্তমানে অসমে ঘাঁটি গেড়েছেন মহারাষ্ট্রের ৪০ জন বিধায়ক। এরমধ্যে ৭ জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন, বাকি সকলেই শিবসেনার সদস্য। রাজনৈতিক উথাল-পাথাল পরিস্থিতির মাঝেই এবার বৈঠকে বসেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়করা। বালা সাহেব থোরাটের বাড়িতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার ভেঙে গেলে, কংগ্রেস কী করবে, তা নিয়েই আলোচনা করা হয় এই বৈঠকে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Congress Meet: ‘বেপাত্তা’ একনাথের দাবি সামনে আসতেই তড়িঘড়ি বৈঠক কংগ্রেসের, জোট ভাঙলে কোন পথে এগোবে তারা?
শিবসেনা ও নির্দল বিধায়কদের নিয়ে এক বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে অপর বিজেপি শাসিত রাজ্যে পৌঁছলেন বিক্ষুব্ধ নেতা একনাথ শিন্ডে। মঙ্গলবার রাতেই গুজরাট ছেড়ে অসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন শিবসেনা বিধায়করা। এ দিন সকালেই তারা গুয়াহাটিতে পৌঁছন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন একনাথ শিন্ডে। জানান, তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন। বালা সাহেব ঠাকরের হিন্দুত্ববাদকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও তিনি জানান। এদিকে, তাদের বিমানবন্দর থেকে নিতে আসেন অসমের দুই বিজেপি বিধায়ক। এরপরই বিজেপির সঙ্গে বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতাদের হাত মেলানোর জল্পনা আরও বাড়ছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Shiv Sena Rebel MLA: ‘মহা’ সঙ্কটে নয়া মোড়, বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের অসমে স্বাগত জানালেন বিজেপি বিধায়কেরা!
বিক্ষুব্ধদের সামাল দিতে এত দিন হিমশিম খেত কংগ্রেস। এবার একই হাল জোটসঙ্গী শিবসেনারও। বিধান পরিষদের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই ‘উধাও’ হয়ে যান কমপক্ষে ২৯ জন শিবসেনার বিধায়ক। পরে জানা যায়, বিক্ষুব্ধ নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে তাঁরা গুজরাটের সুরাটে একটি রিসর্টকেই আস্তানা বানিয়েছেন। এদিকে, বিক্ষুব্ধ নেতার মন বুঝতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। গুজরাটের ওই রিসর্টে দুই প্রতিনিধি পাঠানো ছাড়াও নিজে ফোনে কথা বলেন উদ্ধব ঠাকরে। প্রায় ১০ মিনিট কথা হয় দুই শিবসেনা নেতার মধ্যে। তবে সেই ফোনালাপে বিরোধ মেটানোর কোনও রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর।
বিস্তারিত পড়ুন : Eknath Shinde-Uddhav Thackeray: ‘সমস্যা কোথায়?’ বিক্ষুব্ধদের মন বুঝতে ফোন উদ্ধবের, একনাথের দাবি শুনে বললেন…
মহা সঙ্কটে পড়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার! দলের অন্দরেই বিক্ষুদ্ধদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে শিবসেনা। মঙ্গলবারই জানা যায়, বিক্ষুব্ধ শিবসনা নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ২৯ জন বিধায়ক মহারাষ্ট্র ছেড়ে গুজরাটের একটি রিসর্টে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপরই জল্পনা শুরু হয় যে ভাঙনের পথেই এগোচ্ছে মহারাষ্ট্রের আগাড়ি জোট সরকার। রাতেই আরও দুই বিধায়ক যোগ দেন বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে। সকলকে নিয়ে গুজরাট থেকে অসমের উদ্দেশে রওনা দেন একনাথ শিন্ডে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য থেকেই পশ্চিমী রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Turmoil: গুজরাট ছেড়ে এবার অসমে ‘ঘাঁটি’ শিবসেনা বিক্ষুব্ধদের, কী লেখা আছে আগাড়ি সরকারের ভাগ্যে?
সূত্রের খবর, বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের সঙ্গে ফোনে অন্তত ১০ মিনিট কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। বিজেপির সঙ্গে ফের জোট বাঁধার দাবি জানিয়েছেন শিন্ডে।
বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন শিব সেনা নেতা মিলিন্দ নারভেকার ও রবি পাঠক। তাঁরা এদিন দু’ ঘণ্টার জন্য দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল জানিয়েছেন, তাঁরা শিন্ডের সঙ্গে সরকার তৈরি করতে প্রস্তুত বিজেপি।
মহারাষ্ট্রের রাজ্য় বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল জানিয়েছেন, ‘আমাদের তথ্য় অনুযায়ী একনাথ শিন্ডে ও ৩৫ জন বিধায়ক চলে গিয়েছেন। এর অর্থ কার্যত রাজ্য সরকার এখন সংখ্যা লঘু। তবে তাদের বাস্তবে সংখ্যালঘু হতে কিছুটা সময় লাগবে।’
বিধান পরিষদের নির্বাচনের পরই সংকটের মুখে পড়ল মহারাষ্ট্র সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন মহারাষ্ট্রের নগরোন্নায়ন মন্ত্রী সহ ২২ জন শিবসেনা বিধায়ক বিজেপি শাসিত গুজরাটের একটি হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে এই সম্ভাবনা নস্যাৎ করা হয়েছে। তবে শিবসেনা বিধায়কের এই পদক্ষেপে সংকটে মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাধি জোট সরকার (শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি)। এবার এই সংকটের কারণকেই ছেঁটে ফেলতে চাইলেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে। একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হল শিবসেনার তরফে। শিবসেনার পরিষদীয় দলের নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শিন্ডেকে।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Political Crisis : বিপাকে উদ্ধব, ভাঙন রুখতে বিধানসভার দলনেতা পদ থেকে ছাঁটাই বিদ্রোহী শিন্ডেকে
কংগ্রেসের তরফে বর্ষীয়ান নেতা কমল নাথকে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার বলেছেন, মহারাষ্ট্রে কিছুই ঘটছে না, তাঁরা (বিধায়করা) ফিরে আসবেন এবং এই রাজ্যের সরকারের অংশ হয়েই থাকবেন। মহারাষ্ট্রে আমাদের সরকার স্থিতিশীল রয়েছে এবং থাকবে।
মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের ভোট মিটতেই অন্যদিকে মোড় নিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। গতকাল ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বিধান পরিষদের ১০ টি আসনের মধ্যে ৫ টি গিয়েছে শাসক শিবিরের (Shivsena-NCP-Congress) ঘরে আর ৫ টি গিয়েছে মহারাষ্ট্রের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির পকেটে। এই ফলাফলের পরই মহারাষ্ট্রের নগরোন্নায়ন মন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে বিজেপি শাসিত গুজরাটের একটি হোটেলে গিয়ে উঠেছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন আরও ২১ জন শাসক দলের বিধায়ক। বিশ্লেষকদের মতে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও একনাথের বিজেপিতে যোগদানের দাবি নস্যাৎ করে দেওয়ার হয়েছে বিজেপির তরফে।
বিস্তারিত পড়ুন : Maharashtra Political Crisis : বিধান পরিষদের নির্বাচনের পরই গায়েব একনাথ শিন্ডে সহ ২১ জন বিধায়ক, বিপাকে উদ্ধব সরকার