Ganga Vilas: ‘আটকায়নি গঙ্গা বিলাস’, তাহলে মাঝ গঙ্গায় কেন থমকে প্রমোদতরী?

Ganga Vilas stranded in Bihar: সোমবার (১৬ জানুয়ারি), বিহারের চাপরার কাছে গঙ্গাবক্ষে অগভীর জলে আটকে গেল প্রমোদতরী 'গঙ্গা বিলাস'। এদিনই প্রমোদতরীটির বিহারে নোঙর করার কথা ছিল।

Ganga Vilas: 'আটকায়নি গঙ্গা বিলাস', তাহলে মাঝ গঙ্গায় কেন থমকে প্রমোদতরী?
প্রমোদতরী 'গঙ্গা বিলাস' (ফাইল ছবি )
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 10:44 PM

পটনা: গত ১৩ জানুয়ারি বারাণসী থেকে বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘতম নদীপথের প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। কিন্তু, ৫১ দিনের যাত্রাপথের তৃতীয় দিনেই বিপত্তির মুখে পড়ল ভারতের এই ফ্ল্যাগশিপ ক্রুজ। সোমবার (১৬ জানুয়ারি), বিহারের চাপরার কাছে গঙ্গাবক্ষে অগভীর জলে আটকে গেল প্রমোদতরীটি। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, এদিনই প্রমোদতরীটির বিহারে নোঙর করার কথা ছিল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান চিরান্দ ভ্রমণ করতেন যাত্রীরা। কিন্তু, দোরিগঞ্জ এলাকায় গঙ্গাবক্ষে জল কম থাকায় প্রমোদতরীটি আটকে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। ছোট ছোট নৌকায় করে তাঁরা যাত্রীদের উদ্ধার করেন। যদিও পরে পরিচালন সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গা বিলাস আটকে যায়নি, বরং পর্যটকদের নিরাপত্তার খাতিরেই মাঝ গঙ্গায় আটকে দেওয়া হয় ক্রুজটিকে।

চাপরা জেলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থল হল চিরান্দ সরন। দোরিগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই স্থান। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং ইসলাম – তিন ধর্মের মানুষের জন্যই এই জায়গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন দোরিগঞ্জে গঙ্গা বিলাসের নোঙর করার কথা ছিল। কিন্তু, ওই এলাকায় গঙ্গা অত্যন্ত অগভীর হওয়ায়, পাড়ের কাছাকাছি আসার আগেই আটকে যায় প্রমোদতরীটি। এরপরই, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এসে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। এরপর, সড়ক পথেই তাঁদের চিরাঙ্দ সরনে পৌছে দেওয়া হয়। এই ঘটনার বিষয়ে চাপরা জেলার এক প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, চিরান্দে যাতে পর্যটকদের কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “এসডিআরএফ-এর দল ঘাটেই ছিল। তাই অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া গিয়েছে। জল কম থাকায় ক্রুজটিকে পাড়ে আনতে সমস্যা হয়। ফলে, ছোট ছোট নৌকায় করে পর্যটকদের পাড়ে নিয়ে আসা হয়।”

যদিও পরে, প্রমোদতরীটির পরিচালন সংস্থা এক্সোটিক হেরিটেজ গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজ সিং বলেন, “ক্রুজটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পটনায় পৌঁছেছে। এমভি গঙ্গা বিলাস ক্রুজ আটকে যায়নি। এই দাবি একেবারে মিথ্যা।” তাঁর দাবি, এই প্রমোদতরীটিকে দেখতে বহু মানুষ দোরিগঞ্জের জেটিতে ভিড় জমিয়েছিলেন। তাই সেটি জেটি পর্যন্ত এলে পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি তৈরি হত। সেই কারণেই মাঝ গঙ্গায় ক্রুজটিকে থামিয়ে, ছোট ছোট নৌকোয় পারে নিয়ে আসা হয় তাঁদের

বারাণসী থেকে নদীপথে অসমের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাওয়ার কথা ক্রুজটির। সব মিলিয়ে ৫১ দিনে মোট ৩২০০ কিলোমিটার রাস্তা পারি দেওয়ার কথা প্রমোদতরীটির। যাত্রাপথে ১৫ দিন ধরে বাংলাদেশের মধ্য দিয়েও যাওয়ার কথা। তারপর অসমের ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবেশ করবে প্রমোদতরীটি। ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদীর উপর দিয়ে চলার কথা ক্রুজটির। এর মধ্যে প্রধান তিনটি নদী হল গঙ্গা, মেঘনা এবং ব্রহ্মপুত্র।