Cyber Fraud: ম্যাট্রিমনি সাইটে ফাঁদ পেতেছিল সুন্দরী, ১ কোটি টাকা খোয়ালেন ইঞ্জিনিয়ার
Cyber Crime: অদিতি নিজেকে এক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেয় কুলদীপের কাছে। জানায় সে, মনিনগরের বাসিন্দা। ব্রিটেনে তার ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসা আছে বলেও জানায়। কুলদীপের সঙ্গে ভাব জমিয়ে ব্যানোকয়েন নামে এক ক্রিপ্টোকারেন্সির কথা বলে অদিতি। দুর্দান্ত রিটার্নের লোভ দেখিয়ে সেখানে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয়।
আহমেদাবাদ: ম্যাট্রিমনি সাইটেও প্রতারণার ফাঁদ। ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়ে এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের থেকে দফায় দফায় ১ কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকদের দল। গুজরাটের আমেদাবাদের বাসিন্দা কুলদীপ প্যাটেল। পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গান্ধীনগরের একটি সফ্টওয়্যার ডেভেলপার ফার্মে টিম লিডার হিসেবে কাজ করেন তিনি। গত জুন মাসে এক ম্যাট্রিমনি সাইটে অদিতি প্যাটেল নামে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ জমে কুলদীপের। এখান থেকেই যাবতীয় প্রতারণার কারবারের সূত্রপাত।
অদিতি নিজেকে এক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেয় কুলদীপের কাছে। জানায় সে, মনিনগরের বাসিন্দা। ব্রিটেনে তার ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসা আছে বলেও জানায়। কুলদীপের সঙ্গে ভাব জমিয়ে ব্যানোকয়েন নামে এক ক্রিপ্টোকারেন্সির কথা বলে অদিতি। দুর্দান্ত রিটার্নের লোভ দেখিয়ে সেখানে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয়। কুলদীপও বেশি কিছু না ভেবে অদিতির কথা শুনে সেখানে টাকা ঢালার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। অদিতি তাঁকে সেখানকার কাস্টোমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ বলে একজনের ফোন নম্বরও দিয়েছিল। সেই মতো ওই ফোন নম্বরে চ্যাট করে বিনিয়োগের জন্য নিজের নাম রেজিস্টার করে ফেলে কুলদীপ।
জুলাই মাসে প্রথমে ১ লাখ টাকা ওই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছিল কুলদীপ। শুরুতে ভাল রিটার্নও পেয়েছিল। হিসেবে ৭৮ ইউএসডিটি (ইউএস ডলার টেথার)। সেখান থেকে ৫০ ইউএসডিটি নির্ঝঞ্ঝাটে তুলেও নিয়েছিলেন তিনি। এরপর আরও বিনিয়োগ করতে থাকেন ভাল রিটার্নের লোভে। কিন্তু মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে যখন কুলদীপ প্রায় আড়াই লাখ টাকা তোলার চেষ্টা করে। কুলদীপকে দেখানো হয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গিয়েছে।
এরপর ওই কাস্টোমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তখন তাঁকে বলা হয় অ্যাকাউন্ট ঠিকঠাক করতে গেলে তাঁকে আরও ৩৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সেই টাকা বিনিয়োগও করেন কুলদীপ। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। এদিকে অদিতির থেকেও তিনি আর কোনও উত্তর পাচ্ছিলেন না। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। গত শনিবার সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, জুলাই থেকে অগস্টের মধ্যে ১৮ দফায় মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ওই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছিলেন কুলদীপ প্যাটেল।