Kochi Police: হাসপাতালের শয্যায় মা, উর্দি পরেই একরত্তিকে স্তন্যপান করালেন পুলিশ অফিসার
Police feeds baby: সম্প্রতি কোনও এক মামলায় নাম জড়ানোয় ওই মহিলার স্বামী জেলবন্দি হন। আর এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। এনারকুলাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁদের চার সন্তান।
কোচি: পৃথিবীর সঙ্গে শিশুর পরিচয় সবে ৪ মাসের। বাবা-মাকে একটু একটু করে চিনতে শেখার আগেই তার মাথার ওপর থেকে যেন ছাদটা সরে গিয়েছে। বাবা জেলবন্দি। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে বাঁচাই লড়াই লড়ছে মা। আর খিদের জ্বালায় ছটফট করছে সে। তার আরও তিন ভাই-বোনেরও একই অবস্থা। কোথা থেকে জুটবে খাবার, জানে না তারা। একটা ব্যবস্থা করার জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানেই ৪ মাসের একরত্তিকে কাঁদতে দেখে আর ঠিক থাকতে পারেননি মহিলা পুলিশ অফিসার। মায়ের মন তো! উর্দি পরেই তাকে বুকে তুলে নিলেন অফিসার। থানাতেই করালেন স্তন্যপান। পুলিশ অফিসারের এমন মাতৃস্নেহের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
কেরলের কোচির মহিলা থানার ঘটনা। শিশুর মা পাটনার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে কেরলে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি কোনও এক মামলায় নাম জড়ানোয় ওই মহিলার স্বামী জেলবন্দি হন। আর এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। এনারকুলাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁদের চার সন্তান। বৃহস্পতিবার ওই শিশুদের মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের তরফে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় সঙ্গে সঙ্গে।
কিন্তু চার মাসের একরত্তির কী হবে! সে তো সবার মতো খাবার খেতেও শেখেনি এখনও। একথা ভেবেই ওই শিশুকে কোলে তুলে নেন এমএ আরিয়া নামে ও মহিলা অফিসার। তাঁর নিজের ঘরে রয়েছে ৯ মাসের সন্তান। সে কথা ভেবেই উর্দি ভুলে ওই অসুস্থ মহিলার সন্তানকে থানায় বসেই স্তন্যপান করান তিনি। কেরল পুলিশ প্রকাশ করেছে সে ছবি।
যারা কেবল অপরাধীদের নাগালে আনতে কাজ করে বলে ধারনা সাধারণ মানুষের, তাদের এমন ছবি কার্যত নজির তৈরি করতে পারে সমাজে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার শিশুকে হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।