Manipur Violence: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নায়কের হাতেই মণিপুরে শান্তি ফেরানোর ভার
Manipur Violence: অভিজ্ঞতা এবং কৃতিত্বের জেরে এই পদে আসীন হওয়ার জন্য তাঁর থেকে উপযুক্ত ব্যক্তি কেউ ছিলেন না বললেই চলে। ২১ নম্বর আধাসামরিক বাহিনীর বিশেষ বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৫ সালে মায়ানমারে ভারত যে ধারাবাহিক সার্জিক্যআল স্ট্রাইক চালিয়েছিল, সেই অভিযানের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তিনি।

ইম্ফল: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবাম। এবার এই শৌর্য চক্র এবং কীর্তি চক্রে ভূষিত সেনা আধিকারিকের হাতেই হিংসাধ্বস্ত মণিপুরে শান্তি ফেরানোর ভার তুলে দিল এন বীরেন সিং সরকার। ২৪ অগস্ট, তাঁকে আগামী পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য মণিপুর পুলিশ বিভাগের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট (কমব্যাট) পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। ৩ মে থেকে মণিপুরে ধারাবাহিকভাবে সংঘর্ষ চলছে। প্রাণ গিয়েছে ১৭০ জনেরও বেশি মানুষের। হিংসার জেরে ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সম্মানহান হয়েছে বহু মহিলার। এর মধ্যে আবার শান্তি ফেরানোর কাজে নিয়োজিত দুই বাহিনী – মণিপুর পুলিশ এবং অসম রাইফেলস-এর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায়, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবামের কাজটা মোটেই সহজ হবে না।
তবে অভিজ্ঞতা এবং কৃতিত্বের জেরে এই পদে আসীন হওয়ার জন্য তাঁর থেকে উপযুক্ত ব্যক্তি কেউ ছিলেন না বললেই চলে। ২১ নম্বর আধাসামরিক বাহিনীর বিশেষ বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৫ সালে মায়ানমারে ভারত যে ধারাবাহিক সার্জিক্যআল স্ট্রাইক চালিয়েছিল, সেই অভিযানের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তিনি। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী মণিপুরের মাটি তাই তাঁর কাছে অপরিচিত নয়। বীরত্বের জন্য শান্তিকালীন সময়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার – কীর্তি চক্র এবং শৌর্য চক্রও রয়েছে তাঁর দখলে। শৌর্য চক্র দেওয়ার সময়, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবামের সম্পর্কে সরকার বলেছিল, ‘সবথেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা রচনায়, অনুকরণীয় বীরত্ব প্রদর্শনে এবং সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারদর্শী’।
২৮ অগস্ট মণিপুর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব একটি আদেশ জারি করে কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবামের নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন। আদেশে জানানো হয়েছে, ১২ জুন মণিপুর মন্ত্রিসভার এক বৈঠকেই তাঁকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে ভাষণে প্রধানমনমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, মণিপুরে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। তবে, গত সপ্তাহে ফের আগুন জ্বলেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। গত পাঁচ দিনে, মেইতেই-অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকা অঞ্চল এবং কুকি-অধ্যুষিত পাহাড়ের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
