National Highway Contractors: সময়ের মধ্যে জাতীয় সড়কের কাজ শেষ না হলেই নন-পারফর্মার্স তকমা! কড়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Non Performers Tag: নন-পারফর্মার্স তকমা একবার সেঁটে যাওয়া মানে আগামী দিনে কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে তাদের বরাত পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললে চলে।

National Highway Contractors: সময়ের মধ্যে জাতীয় সড়কের কাজ শেষ না হলেই নন-পারফর্মার্স তকমা! কড়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি। (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 4:12 PM

নয়া দিল্লি: জাতীয় সড়কের (National Highway) কাজে আরও স্বচ্ছতা এবং গতি আনতে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। জাতীয় সড়ক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ… যে কোনও ধরনের কাজের জন্য সে ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে, তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে। জানিয়ে দিল নীতিন গড়কড়ির মন্ত্রক (Ministry of Road Transport)। নির্দিষ্ট সময়সীমার (deadline) মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ওই ঠিকাদার সংস্থাকে ‘নন-পারফর্মার্স’ (Non Performers) তকমা দেওয়া হবে।

এছাড়া কাজের গুণগত মান নিয়ে যাতে কোনওরকম প্রশ্নচিহ্ন তৈরি না হয়, সেই দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রমিককেও যাতে ওই কাজে নিযুক্ত করা হয়, তার দিকেও নজর রাখতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে। এগুলির মধ্যে কোনও একটি ক্ষেত্রেও যদি গরমিল থাকে, তাহলে ‘নন-পারফর্মার্সের’ তকমা লেগে যেতে পারে ওই ঠিকাদার সংস্থার গায়ে।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের থেকে ইতিমধ্যেই একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, কোন কোন মাপকাঠি মেনে চলতে হবে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোনওরকম সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যদি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করা না হয়, তাহলে ওই ঠিকাদার সংস্থার গায়ে ‘নন-পারফর্মার্স’ তকমা সেঁটে দেওয়া হবে। আর এই নন-পারফর্মার্স তকমা একবার সেঁটে যাওয়া মানে আগামী দিনে কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে তাদের বরাত পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললে চলে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জাতীয় সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও ছোটখাটো খামতি থেকে গেলে, তা পুনরায় মেরামত করে দিতে হবে ওই ঠিকাদার সংস্থাকে। পাশাপাশি যে অংশটুকুর কাজে খামতি রয়েছে, তার উপর চুক্তিমূল্যের ৫ শতাংশ কিংবা মোট প্রজেক্টের খরচের ০.৫ শতাংশ, যেটি বেশি হবে, সেই পরিমাণ অঙ্ক খেসারত দিতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে।

যদি কোনও সড়কে ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, তবে ওই সংস্থাকে এক বছর পর্যন্ত কোনও চুক্তি দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে জরিমানাও করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্র সরকারের তোপের মুখে পড়েছিল সেখানকার রাজ্য সড়কের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাগুলি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি হলে, কাউকে রেয়াত করা হবে না। মহারাষ্ট্রের একাধিক রাস্তার হাল বেহাল। পিচের রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। খানা খন্দে ভরতি রাস্তা। আর এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছিল। সেই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কোথাও যদি গাফিলতি হয়, তাহলে ঠিকাদার কিংবা ইঞ্জিনিয়র কাউকেই রেয়াত করা হবে না।

আরও পড়ুন: RG Kar Hospital: নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়া বৃদ্ধাকেও ফেরাল আরজিকর, কেউ পেল ‘সান্তনা পুরস্কার’ স্যালাইনের বোতল