NDA Coalition: নীতীশ হাত ছাড়ায় বিপাকে বিজেপি, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে আরও দূরে NDA

NDA Coalition: সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিজেপিকে বিজেডি, ওয়াইএসআরসি, টিডিপি, শিরোমণি আকালি দল ও মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি সমর্থন জানিয়েছিল। এবার যদি আকালি দল বা বিএসপি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়, তবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে বিজেপি।

NDA Coalition: নীতীশ হাত ছাড়ায় বিপাকে বিজেপি, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে আরও দূরে NDA
ফাঁকা বিহারের বিজেপি অফিস। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 11:49 AM

নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রের পর এবার পালাবদল হল বিহারে। তবে খেলাটা সম্পূর্ণ উল্টো। মহারাষ্ট্রে যেখানে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে একনাথ শিন্ডে-বিজেপি জোট, সেখানেই বিহারে বিজেপির হাত ছেড়ে ফের আরজেডি-কংগ্রেসের হাতই ধরেছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। মঙ্গলবারই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সাতটি দলের মহাগটবন্ধনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্য়াগরিষ্ঠতা নিয়ে আজ নীতীশ কুমার ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন। এদিকে, বিহারে জোট ভাঙায় তার মাশুল গুণতে হচ্ছে বিজেপিকে। শুধু বিহারে নয়, জোট ভাঙার প্রভাব পড়েছে রাজ্যসভাতেও। কমে গিয়েছে এনডিএ-র আসনসংখ্যা।

এনডিএ-র সঙ্গে জোটে রাজ্যসভায় নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের পাঁচজন সাংসদ ছিল। তা সত্ত্বেও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না এনডিএ-র। এরমধ্যে বড় ধাক্কা হিসাবে বিগত তিন বছরে পরপর তিনটি দল এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গেল। প্রথমেই জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল শিবসেনা, পরে কৃষক আন্দোলনের সময় এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে যায় শিরোমণি অকালি দল। তেলুগু দেশম পার্টিও ২০১৯ সালে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এবার তালিকায় নতুন সংযোজন জেডিইউ।

জেডিইউ-ও এবার জোট ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ায় বিজেপিকে ওড়িশার বিজু জনতা দল ও অন্ধ্র প্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির উপরই নির্ভরশীল থাকতে হবে রাজ্যসভায় গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ করার জন্য।

রাজ্যসভায় আসনসংখ্যার হিসাব-

বর্তমানে রাজ্যসভায় আসনসংখ্যা ২৩৭। এরমধ্যে আটটি আসন ফাঁকা রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের ৪টি আসন, ত্রিপুরার একটি আসন ফাঁকা রয়েছে, মনোনীত প্রার্থীর তিনটি আসনও ফাঁকা রয়েছে। রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৯টি আসন। এতদিন এনডিএ জোটের হাতে ছিল ১১৫টি আসন। এরমধ্যে পাঁচজন মনোনীত প্রার্থী ও একজন স্বাধীন প্রার্থী। এবার জেডিইউ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আসনসংখ্যা কমে দাঁড়াল ১১০-এ। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য এনডিএ-র হাতে ৯টি আসন কম রয়েছে।

শীতকালীন অধিবেশনের আগে সরকার আরও তিনজন সাংসদকে মনোনীত করতে পারে। এছাড়া ত্রিপুরার নির্বাচন হলে সেই আসনেও জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির। সেই সংখ্যা মিলিয়ে এনডিএ জোটের আসনসংখ্যা ১১৪ হবে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্জনের তুলনায় কম।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিজেপিকে বিজেডি, ওয়াইএসআরসি, টিডিপি, শিরোমণি আকালি দল ও মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি সমর্থন জানিয়েছিল। এবার যদি আকালি দল বা বিএসপি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়, তবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে বিজেপি।

রাজ্যসভায় আসন সংখ্যা-

  • বিজেপি- ৯১
  • এআইএডিএমকে-৪
  • এসডিএফ-১
  • আরপিআইএ-১
  • এজিপি-২
  • পিএমকে-১
  • এমডিএমকে-১
  • তামিল মানিলা-১
  • এনপিপি-১
  • এমএনএফ-১
  • ইউপিপিএল-১
  • আইএনডি-১
  • মনোনীত প্রার্থী ৫