India in UN: ‘জঙ্গি দমনে দ্বিচারিতা কাম্য নয়’, রাষ্ট্রপুঞ্জে চিনকে কড়া বার্তা ভারতের
Ruchira Kamboj: রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের নব নির্বাচিত প্রতিনিধ রুচিরা কম্বোজ মঙ্গলবার বলেন, বলার কোনও সুযোগ দিয়ে কোনও প্রস্তাব স্থগিত করা অভ্যাস এবার বদলানোর সময় এসেছে।
নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদকে যে সব রাষ্ট্র ঘুরিয়ে সমর্থনের নীতি নিয়েছে, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চ থেকে তাদের কটাক্ষ করল ভারত। এর পাশাপাশি তালিবান (Taliban) শাসনে আফগানিস্তানের কাবুলে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানে যে একের পর এক আক্রমণ চলছে তা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলেই জানিয়েছে ভারত। এদিন চিনের সভাপতিত্বে হওয়া ইউএনএসসির ‘থ্রেট টু ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কজড বাই টেরোরিস্ট অ্যাক্ট’ (Threats to international peace and security caused by terrorist acts) শীর্ষক সম্মেলেনে বেজিংকে কটাক্ষ করে ভারত জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রমাণসহ বিশ্বের কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীদের কালো তালিকাভুক্ত করার যে তথ্য ও প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছিল, তা স্থগিত করে রাখারা বিষয়টি ‘দুঃখজনক’। ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “সাম্প্রতিক শিখ গুরুদ্বারের আক্রমণ সহ কাবুলের সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়স্থানে যে একের পর এক আক্রমণ চলছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জঙ্গি মোকাবিলায় কোনও দ্বিমত থাকা উচিৎ নয়।”
?Watch: Excerpts from Ambassador’s remarks at #UNSC Briefing on “Threats to international peace and security caused by terrorist acts”@RuchiraKamboj @MEAIndia pic.twitter.com/tV6ztbxpkh
— India at UN, NY (@IndiaUNNewYork) August 9, 2022
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের নব নির্বাচিত প্রতিনিধ রুচিরা কম্বোজ মঙ্গলবার বলেন, বলার কোনও সুযোগ দিয়ে কোনও প্রস্তাব স্থগিত করা অভ্যাস এবার বদলানোর সময় এসেছে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কমিটি গুলিকে আরও বেশি স্বচ্ছ হতে হবে। এর পাশাপাশি কোনও প্রস্তাব স্থগিত রাখার পিছনে জবাবদিহি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।” রাষ্ট্রুপুঞ্জের বৈঠকে ভারত বলেছে, “সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। বেশ কিছু শক্তি নিজেদের সুবিধার জন্য সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে পারে, তাদের কোনওভাবেই সমর্থন করা উচিত নয়।”
বর্তমানে ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের জঙ্গি-দমন কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের এই অবস্থান আসলে চিন ও পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। রুচিরা কম্বোজ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতা এবং ক্রমাগত রাজনীতিকরণ নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা আশা করি যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই সম্মিলিত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ইউএনএসসি সকল সদস্যরা এক সঙ্গে জোরাল কণ্ঠে সোচ্চার হবে।”